আলফাডাঙ্গায় মাদকাসক্ত ছেলেকে প্রশাসনের হাতে ধরিয়ে দিলেন মা ও বড় ভাই অত:পর ছয় মাসের কারাদণ্ড
আলমগীর কবির, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মাদকাসক্ত ছেলের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মা ও বড় ভাই প্রশাসনের নিকট সুকৌশলে ধরিয়ে দিলেন ; অত:পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬(৫) ধারায় তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর ) বেলা ১১টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম রায়হানূর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. রফিকুল আলম (৩০) ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার বেলবনা গ্রামের মৃত আজিজার মোল্যার ছেলে।
এ বিষয়ে দন্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলামের বড় ভাই সৈনিক ডিফেন্সে চাকুরী রত মো: রবিউল ইসলাম বলেন, রফিকুল ইসলাম আমার ছোট ভাই, সে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক সেবক করে আমাদের পরিবার ও সংসার ধ্বংস করে দিয়েছে,তাকে ভাল করার জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ, পূর্বে ও তাকে একাধিক বার থানা পুলিশে দিয়েছি কিন্তু কোন প্রকারে সংশোধন না হওয়ায় বাধ্য হয়ে মাকে নিয়ে এসিল্যান্ড অফিসে এনে এসিল্যান্ড মহোদয়ের নিকট বিস্তারিত জানালে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
রবিউল ইসলাম আরও বলেন, সে মাদকে এতোই আসক্ত যে, মাদকের টাকা যোগাড় করতে সংসারের মালামাল, জমিজাতি, গাছগাছালি বিক্রি শেষে একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম ইজিবাইক যেটি আমি তাকে কিনে দিয়েছিলাম সেটিও আজ বিক্রি করার সংবাদ পেয়ে মা ও আমি মিলেমিশেই পরিস্থিতির স্বীকারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া সামনে আমাদের কোনও পথ ছিল না।
ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.কে.এম. রাহান রহমান বলেন,মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি, যা পরিবার ও সমাজ দুটোকেই ধ্বংস করে দেয়। সরকার মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্সের অঙ্গিকারে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন,যে কেউ মাদক অপরাধে জড়িত হলে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে সকলের সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রশাসনের এই কার্যক্রমে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ও প্রশংসার সুর ছড়িয়ে পড়েছে।


সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।