বুধবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্যাতিত নেতা আজাদ হোসেনের বিরামহীন প্রচার-প্রচারনা

স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৪,উল্লাপাড়া আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ আজাদ হোসেন নেতাকর্মী আর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে উপজেলাজুড়ে বিরামহীন প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া ৩১ দফা সাধারনের মাঝে তুলে ধরে করছেন সভা  সমাবেশ,উঠান বৈঠক,মত বিনিময় সভা,হাট-বাজারে গণসংযোগ।

উপজেলাজুড়ে সবত্র শোভা পাচ্ছে তার বিলবোর্ড,ব্যানার-ফেষ্টুন। যেখানেই তিনি প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন সেখানেই সাধারন মানুষ এবং দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি এবং সমর্থন পাচ্ছেন। ত্যাগী, নির্যাতিত এ নেতাকে কাছে পেয়ে স্থানীয়রা  তুলে ধরছেন তাদের দাবী এবং আগামী দিনের  প্রত্যাশার কথা।

আজাদ হোসেন  দীর্ঘদিন ধরে দলের দুঃসময়ে উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব, সাধারন সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করে আসছেন। এ দায়িত্বপালন করতে গিয়ে  পতিত স্বৈরাচার সরকারের দেয়া ৪১ টি মামলায় ২৫ বার কারা বরন করেও তিনি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলের পক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছেন।

আজাদ হোসেনের বাবা মরহুম সরাফত আলী ছিলেন উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা। তিনি তৎকালীন সময়ে  দায়িত্ব নিয়ে উপজেলার জনগনের মাঝে শহীদ জিয়ার আদর্শ তথা বিএনপির ১৯ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেন। তার হাত ধরেই দলের অঙ্গ সংগঠনগুলো প্রতিষ্ঠা পায়। বাবার আর্দশে তিনি বাল্যকাল থেকেই বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তিনি নয় তার পুরো পরিবার প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।

আজাদ হোসেনের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বাবলু জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক,আরেক ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক উল্লাপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়কের দায়িত্বপালন করেন। তাদের নামেও বিগত দিনে দেয়া হয় ডজন ডজন গায়েবি মামলা। এসব মামলায় তারা মাসের পর মাস জেল হাজত খেটেছেন। তাদের মা মারা গেলেও ছোটভাই সাইফুল ইসলাম বাবলুকে জানাযায় অংশ নেবার জন্যও জেলখানা থেকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়নি। শুধু মামলাই নয় তাদের উপর চালানো হয় ভয়াবহ নানা নির্যাতন।

বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকা এবং নেতৃত্ব দেবার অপরাধে তাদের বিগত দিনে নিজেদের ঘর বাড়িতে থাকতে দেয়া হয়নি। পরিবারের সাথে কোন উৎসব পালন করতে পারেননি তারা। তাদের পরিবারের সদস্য পার করেছেন বিভিশিকাময় একেকটি দিন। তবুও তারা পিছু হটেননি। মামলা হামলার ভয়ে যখন সুবিধাভোগী অন্য নেতারা  আত্নগোপনে থেকেছেন তখন আজাদ হোসেন ও তার সহদোররা মিলে উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।

সাধ্য অনূর্যায়ী তাদের মামলা পরিচালনায় সহযোগীতা দিয়েছেন। বিগত দিনে তারা ছাড়া মাঠে নেতৃত্ব দেবার আর কোন নেতাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।  দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আজাদ হোসেন ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত উল্লাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি,১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত উল্লাপাড়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি,১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত  সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি, ১৯৯৮ থেকে ২০০১ পর্যন্ত  উল্লাপাড়া পৌর বিএনপি আহবায়ক,২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক,২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির সদস সচিব এবং ২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্বপালন করেন। এছাড়াও তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা সড়ক ও পরিবহন মালিক সমিতি দুই বার নির্বাচিত সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বপালন করেন।

আজাদ হোসেন বলেন,বিগত দিনে আমার নেতৃত্বে উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নানা আন্দোলন সংগ্রাম লড়াই করেছে। এ কারনে আমি এবং আমার ভাইয়েরা সর্বোচ্চ  মামলা-হামলা,নির্যাতনের শিকার হয়েছি। নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। সহযোগীতা করেছি। যে কারনে এখন পর্যন্ত উপজেলা বিএনপি সহ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মী আমার সাথে রয়েছেন।

তারা ঐক্যবদ্ধভাবে আমার পক্ষে বিরামহীন  প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছে। এ কারনে আমি মনে করি দলের হাইকমান্ড আমার বিগত দিনের কর্মকান্ডের বিবেচনায় নিলে আমি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।  আমি দলীয় মনোনয়ন পেলে বিএনপি ও সহযোগী নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এ আসনে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়