ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ, তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ
সংবাদের আলো ডেস্ক: মাদারীপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শাটডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে একাধিক গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়েছে। রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে গোপালপুর এলাকায় শুরু হয় এই অবরোধ। এ সময় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন কর্মসূচির সমর্থকরা। এতে প্রায় তিন ঘণ্টা মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কালকিনি ও ডাসার থানার পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গাছের গুড়ি সরিয়ে ফেললে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাটডাউন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক এবং কালকিনি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার।
সকালে গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে তারা ও তাদের কর্মীরা অবস্থান নেন। পরে যন্ত্রের সাহায্যে ১০–১২টি বড় গাছ কেটে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিলে উভয় পাড়ে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী, চালক ও স্থানীয় লোকজন।
অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের ওপর একটি ভ্যানকে মঞ্চ বানিয়ে নেতাকর্মীরা হ্যান্ডমাইকে বক্তব্য রাখেন। বক্তৃতায় তারা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের দাবি তুলে ধরেন। অবরোধ সফল করায় কর্মীদের ধন্যবাদ জানান দুই নেতা।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীরা সরে যায়। পরে গাছ সরিয়ে যান চলাচল শুরু করা হয়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি নিজেই ফোর্স নিয়ে সেখানে যাই। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গাছগুলো অপসারণ করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহাসড়কে বড় বড় আস্ত গাছ ফেলে রাখা হয়েছিল, তাই অপসারণে সময় বেশি লেগেছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।