ভূঞাপুরে জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপন, সেবা থেকে বঞ্চিত নাগরিকরা


আখতার হোসেন খান, ভুঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
শে হাসিনা পদত্যাগের পর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চয়ারম্যান ও মেয়রসহ ৬টি ইউনিয়নের অধিকাংশ চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তারা আর তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে আসেননি। ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
আত্মগোপনে চলে যাওয়া জনপ্রতিনিধিরা হলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোছা: নার্গিস বেগম, পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযাদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া আফরিন খানম লোপা।
অজুর্না চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব, ফলদা চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু, গোবিন্দাসী চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার, অলোয়া চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, গাবসারা চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা আকন্দ ও নিকরাইল চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ। এদর মধ্যে অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা যায়।
উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়ড়া গ্রামের রাশদসহ সেবা বঞ্চিতরা জানান, সরকার পদত্যাগের পরের দিন থেকে গত বুধবার পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি। জনপ্রতিনিধিরা পরিষদে না থাকায় কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছি না। কবে তারা পরিষদে আসবে তাও কেউ বলতে পারছে না। এনিয়ে আমরা ভোগান্তিতে পরেছি।
এ বিষয়ে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিরাপত্তা জনিতকারণে কয়েকদিন পরিষদ কার্যালয়ে যাওয়া হয়নি। তবে, জনগণ যাতে সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য সকল কার্যক্রম রেখেছি এবং এখন নিয়মিত পরিষদে যাচ্ছি।
ভূঞাপুর পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযাদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ বলেন- ‘আমার বাসা-বাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে অফিসে যাওয়া হয়নি। নিরাপত্তা পেলে নিয়মিত অফিস করব’।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান মোছা: নাগির্স বেগম বলেন- ‘দু’একদিন অফিসে গিয়েছি। বাঁধার কারণে অফিস করা হয়নি। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে নিয়মিত অফিস করব’। তবে অনেক জনপ্রতিনিধিদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপার উপজেলা প্রশাসনের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হয়না।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।