৪ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বাগাতিপাড়া মডেল মসজিদে মুসল্লিদের চরম দুর্ভোগ
বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদে এসটি সুইচ গিয়ার পুড়ে যাওয়ায় গত ৪ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মুসল্লিরা। বিদ্যুৎ না থাকায় মসজিদের লাইট, ফ্যান ও পানি সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অজু ও নামাজ আদায়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন নিয়মিত মুসল্লিরা । অনেকেই সঠিক সময়ে নামাজের জামায়াতে অংশ নিতে পারছেন না। অন্ধকারে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে নামাজ পড়তে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় মুসলিরা জানান, আধুনিক অবকাঠামোতে নির্মিত নতুন মসজিদে এমন ত্রুটি উদ্বেগজনক। তারা দ্রুত সমস্যার সমাধান করে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ সচল করার দাবি জানান।
মডেল মসজিদ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর রবিবার আসর নামাজের পর হঠাৎ করেই বিকট শব্দে মসজিদের প্রধান এসটি সুইচ গিয়ার পুড়ে যায়। এরপর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফ্যান, লাইট ও সাউন্ড সিস্টেম অচল হয়ে পড়েছে। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় মুষল্লিদের বাইরে গিয়ে ভিড় করে অজু করতে হচ্ছে, যা বিড়ম্বনার সৃিষ্ট হছে।
২০২৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাগাতিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের মাত্র আট মাসের মধ্যেই প্রধান সুইচ গিয়ার নষ্ট হয়ে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে নিয়মিত নামাজ, ধর্মীয় কার্যক্রমসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহাবুব আলম সিদ্দিক বলেন, ২৫ অক্টোবর আসর নামাজের পর থেকে বিদ্যুৎ নেই। মুসল্লিদের অনেক কষ্টে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে।মোবাইলের লাইট জালিয়ে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে।তিনি নিজেও রাতে মসজিদে থাকেন, বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। ফোনে করে বিষয়টি প্রশাসন কে জানানো হয়েছিল। তবে মৈাখিক ভাবে তারা বিষয়টি আজ বুধবার জানাবেন বলে জনান।
মডেল মসজিদ সংলগ্ন বিহাড়কোল বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ও নিয়মিত মুসল্লি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন নামাজে এসে দেখি পানি নেই, আলো নেই। অন্ধকারে নামাজ পড়তে হয়। বাইরে হুড়োহুড়ি করে অজু করতে হচ্ছে। মুসল্লিদের কষ্ট করতে হচ্ছে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
উপজেলা মডেল মসজিদের তত্তাবধায়ক সৈয়দ শাহ মাসুদ বলেন,বিদ্যুৎ না থাকায় ইসলামি ফাউন্ডেশনের দাপ্তরিক কাজ বন্দ রয়েছে। তবুও গরমের মধ্যে অফিসে আসছেন। বিষয়টি জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জানানো হয়েছে। তবে নতুন ইউএনও মহোদয়কে এখনো জানানো হয়নি। আজকে জানাবেন বলে জানান তিনি।
জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ রিয়াজুল ইসলামের বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছে। তবে সচল হতে সময় লাগতে পারে। মসজিদ কমিটির সভাপতি যেহেতু ইউএনও মহোদয়, আর আগের ইউএনও মহোদয় বদলি হয়েছেন আর এটার সমাধান এর বিষয়টি নতুন ইউএনও মহোদয় আসলেই ভালো বলতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, তিনি সদ্য যোগদান করায় বিষয়টি অবগত নয়। তবে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।


সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।