‘পিআর’ ইস্যুতে মিত্রদের পাশে চায় বিএনপি


সংবাদের আলো ডেস্ক: পিআর বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নয়, বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি। তবে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আরও বেশ কয়েকটি দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়ায় কোন পদ্ধতিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে এক ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় এই ইস্যুতে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের পাশে চায় বিএনপি।
দলটির প্রত্যাশা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের ‘পিআর পদ্ধতি’ নিয়ে আলোচনা হলে শরিকরা যেন তাদের সঙ্গে একই সুরে কথা বলে। গত শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে এমন প্রত্যাশা ও গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। অন্যদিকে ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাশনাল লেবার পার্টির লায়ন মো. ফারুক রহমান, জাগপার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির তমিজ উদ্দিন টিটু প্রমুখ।
বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা নিয়ে ঐকমত্য তৈরিতে বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এমন অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে সংস্কার প্রশ্নে যুগপতের শরিকদের সঙ্গে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হোক, সেটা বিএনপি চায় না। দলটির প্রত্যাশা, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করেছিল, সংস্কার ইস্যুতেও যেন তারা সেভাবে একই সুরে কথা বলেন।
জানা গেছে, বৈঠকে নির্বাচনের পিআর পদ্ধতি, সংসদে নারী আসন এবং জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নিয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি। জোট নেতাদের দলটি বলেছে, তারা পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে। বাংলাদেশে আনুপাতিক হারে নির্বাচনের কোনো ইতিহাস নেই। সংসদীয় রাজনীতি বা সংসদীয় নির্বাচনের ইতিহাস নেই।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারে সেটা একটা নতুন আইডিয়া। তবে সেটা আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য ও উপযুক্ত নয়। যেখানে প্রযোজ্য আছে, সেখানেও অনেক জটিল অবস্থা। আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো সংসদীয় এলাকার ভোটাররা জানবেন না যে, কে তাদের এমপি হবেন।
তা ছাড়া এমপির কাছে যে যাবেন, সেজন্য তারা নির্ধারিত কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাবেন না। আনুপাতিক হারের নির্বাচনের কথা যারা বলছেন, তাদের একটি উদ্দেশ্য আছে। হয় নির্বাচন বিলম্বিত করা অথবা বাংলাদেশে নির্বাচন না হওয়া—এটা তাদের উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আনুপাতিক হারে নির্বাচন বিএনপি অনেক আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।