রবিবার, ২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বান্দরবানে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু

বান্দরবান প্রতিনিধি: প্রাচীনকাল থেকে বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প, কামার, বাঁশ-বেতপণ্য প্রস্তুুতকারী ও কাসা-পিতলপণ্য প্রস্তুুতকার এবং মুচির মতো পেশাগুলো বিলুপ্তির পথে, আর এই প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সারাদেশেরমত বান্দরবানে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (২৪ মে) সকালে বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এর আয়োজনে এক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের তথ্য তুলে ধরেন।

এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, সমাজে যাদের বিশেষ প্রয়োজন সেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কামার,কুমার, নাপিতসহ বিভিন্ন বাশ ও বেতপণ্য এবং কাঁসা ও পিতলপণ্য প্রস্তুতকারীরাসহ ১০টি প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠী আধুনিকতার নির্মম স্পর্শে হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আর এই শিল্পের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা আজ অসহায় ও নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। এই সময় তিনি আরো বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এই প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের শিল্পকে বাচিঁয়ে রাখতে সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে এবং আগামীতেও করা হবে।

সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে পেশাজীবী জাতিগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার উৎকর্ষ এবং পেশার আধুনিকায়নের মাধ্যমে তাঁদের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিসহ সমাজের মূল শ্রোতধারায় সম্পৃক্ত করে তাদের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে। সভায় বান্দরবান জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মিলটন মুহরী বলেন, বাংলাদেশের প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (ফেইজ-২) এর আওতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুুতকরণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আদি পেশার টেকসই উন্নয়নে আর্থিক সহায়তার জন্য প্রকল্পের নির্বাচিত ২৬ হাজার ৩শত ৪৩ জন উপকারভোগীকে মূলধন হিসেবে অনুদান প্রদান করা, প্রশিক্ষণ ও অনুদান বিতরণ শেষে গুগল ম্যাপিং এর মাধ্যমে মনিটরিং ও পেশা বিকাশে সহায়তা করা হবে।

তিনি আরো বলেন, সারাদেশের সকল ইউনিটে প্রান্তিক পেশাজীবীদের অনলাইন জরিপ পরিচালনা করা হয়। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে অনলাইন সনাক্তকরণ জরিপটি পরিচালিত হয়, যেখানে পেশাজীবীদের সরকারের একসেবা হতে এনআইডি ইন্ট্রিগ্রেশনের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা সুলতানা খান হীরামনি,বান্দরবান জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মিলটন মুহরী, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় চট্টগ্রাম বিভাগের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ আবুল কাশেম, বান্দরবান জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.হারুনর রশীদ, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুপন চাকমা, সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদারসহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন দফতরের উর্ধতন কর্মকর্তা, প্রান্তিক পেশাজীবি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়