শুক্রবার, ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

নেত্রকোনায় স্টিয়ারিং কমিটির নবম সভা অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩২৫ রেজুলেশন এর ভিত্তিতে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির নবম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার(১৫ মে) বিকেলে পৌর শহরের নারী প্রগতির  এমএফটি হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন টেকসই শান্তিতে অবদান রাখতে বাংলাদেশী নারীদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায়  নেত্রকোনা সদর উপজেলার সরকারী কর্মকর্তা, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নারী নেত্রী, শিক্ষক, সংস্কৃতি কর্মী, স্থানীয় সরকার ও যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে উপজেলা ষ্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়। 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্বজল কুমার সরকার। সভায় পূর্বে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ি অগ্রগতি ও ভবিষ্য করনীয় বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ সহ জেন্ডার সমতা, সাম্প্রতিক সময়ে নারী ও মেয়েদের উপর সংঘঠিত বিভিন্ন সংঘাত ও সহিংসতার প্রভাব এবং শান্তি বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে নারীর সমস্যা,নিরাপত্তাহীনতা ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরনের মাধ্যমে সমাধানের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন শাহাজাদীর সভাপতিত্বে এবং স্টিয়ারিং কমিটির সমন্বয়কারী বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) নেত্রকোনা কেন্দ্রের উন্নয়ন কর্মকর্তা কল্পনা ঘোষ এর পরিচালনায় সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএনপিএস নেত্রকোনা কেন্দ্রের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী। 

তিনি বলেন নারী, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য  প্রয়োজন নারী সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত সহ নারী বিদ্বেষী বক্তব্য পরিহার করা। মেয়েদের নিরাপদে স্কুলে আসা যাওয়া এবং রাস্তাঘাট সহ  যানবাহনে যৌন হয়রানি বন্ধ করা । প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব স্বজল কুমার সরকার বলেন ইউএন ওমেন এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ স্টিয়ারিং কমিটির মাধ্যমে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য যে সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।পুলিশ বাহিনীর কাজও কিন্তু শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। থানায় নারী, শিশু বয়স্ক সুরক্ষা সেল সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে বর্তমানে পুলিশ বাহিনী কাজ করছে। তাছাড়া বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধের যে কোন ঘটনায় পুলিশ বাহিনী সবসময় পাশে থাকে। বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে এলাকা ভিত্তিক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পুলিশ বাহিনীর কাজ চলমান রয়েছে। স্টিয়ারিং কমিটির একজন সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন স্কুল পর্যায়ে অভিভাবকদের নিয়ে যৌথ সভা করা যেতে পারে, সেখানে শিক্ষার্থীরা যেমন বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারবে ঠিক তেমনি অভিভাবকরাও তাদের করনীয় বিষয়গুলো জেনে আত্নবিশ্বাসী হতে পারবে। তিনি যে কোন ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনায় সরাসরি উনার সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্য স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গাজী মোবারক হোসেন, সাংবাদিক ও জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক আলপনা বেগম, শিক্ষক শিউলি চক্রবর্তী, সাবেক প্যানেল মেয়র শামীম আরা খানম, নারীনেত্রী মুক্তিযোদ্ধা ঊষা রানী রায়, সংস্কৃতি কর্মী শিল্পী ভট্রাচার্য ও আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষক ইলোরা তাহসিনা অনেকেই।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়