শনিবার, ৩রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

উলিপুরে ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন 

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: অগ্রাধিকার তালিকার মাষ্টার রোলে নাম পরিবর্তন করলেও নুরজাহান বেগমের স্বামীর নাম অনিল চন্দ্র লেখা রয়েছে। যার ক্রমিক নং ১১৮। এভাবে একাধিক ভূয়া নাম দিয়ে ভিজিএফ’র চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উলিপুর উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ধরনীবাড়ী ইউনিয়নে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব ও দুস্থ মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল বিতরণে প্রায় ২ হাজার উপকারভোগীর ভিজিএফ এর চাল থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। তালিকায় একজনের নাম একাধিকবার ব্যবহার ১ থেকে ১৩ ক্রমিকে ব্যবহৃত এনআইডি নং ৬ হাজার ৬শ ৫০জন সুবিধাভোগীর নামে ব্যবহার হয়েছে।  মৃত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা এবং এক ওয়ার্ডের লোকজনকে অন্য ওয়ার্ডের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেছেন।

অভিযোগকারী এশিয়ান টেলিভিশনের উলিপুর উপজেলা প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান শাহীন জানান, ধরনীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এরশাদুল হক, ভুয়া তালিকা প্রণয়ন করে অন্তত ২ হাজার জনের নামে চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন বলে খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কালো বাজারে চাল বিক্রির ভিডিও ধারণ করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদুল হক গংরা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান শাহীন জানান, এঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পর দুর্নীতিবাজ ওই চেয়ারম্যান দ্রুত তালিকা পরিবর্বতন করেন। প্রায়োরিটি/অগ্রাধিকার তালিকার ক্রমিক ৪২ মজাহার পিতার নাম লেখা ছিলো যাদুচন্দ্র, পরিবর্তন করে পিতার নাম লেখা হয়েছে বক্কর আলী। ক্রমিক নং ৪৪ সাহেব আলী, পিতা ছিলো খোকা চন্দ্র, নতুন করে লেখা হয়েছে জামাল উদ্দিন। ক্রমিক নং ৪৬ ইউনুস, পিতা অনিল চন্দ্র, পরিবর্তন করে পিতার নাম লেখা হয়েছে তোফাজ্জল। ক্রমিক নং ৫৪ বিলকিস বেগম, পিতা /স্বামী যাদুচন্দ্র, পরিবর্তন করে লেখা হয়েছে বয়তাল উদ্দিন। ক্রমিক নং ৫৮ কপিলা, পিতা/স্বামী, অনিল চন্দ্র, পরিবর্তন করে লেখা হয়েছে কপিল উদ্দিন। নিজেকে বাঁচাতে এভাবেই অনেক নাম পরিবর্তন করেছেন চেয়ারম্যান এরশাদুল হক।

এবিষয়ে জানতে ধরনীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এরশাদুল হকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়