বাগাতিপাড়ায় সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার — সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ
বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সাংবাদিক নেতা মুহাম্মদ কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার নূরপুর চকপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
তিনি জানান, ২৪ অক্টোবর দৈনিক কালের কন্ঠসহ একাধিক অনলাইন পত্রিকায় তাঁকে “জামায়াত নেতা ও ভিপি-জমি দখলকারী” হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি বলেন, অতীতে তিনি উপজেলা শিবিরের সভাপতি ছিলেন, তবে বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামী বা এর কোনো অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। এখন তিনি সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাঁর অভিযোগ, ব্যক্তিগত ও সামাজিক সম্মানহানি ঘটানোর জন্য একটি মহল তাঁকে টার্গেট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মতিউর রহমান মধু জানান, ভিপি জমিটি মূলত তাঁর লিজকৃত সম্পত্তি। শিখা ও শামিমের অত্যাচারে তিনি বাধ্য হয়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেছেন এবং বিষয়টি থানায় সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে অবহিত করেছেন।
তিনি বলেন, “জমিটির পাশে রাস্তা না রাখার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। শিখা খাতুন কারও প্ররোচনায় আমার ও আমার ভাগ্নে কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন।”
অভিযুক্ত শিখা খাতুনকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। তিনি বলেন, “কি করব? জেল-জরিমানা থাকলে দিতে পারবে।” তিনি আরও জানান, শুনেছেন কামরুল ইসলাম নাকি মধুর কাছ থেকে জমিটি কিনে নিয়েছেন—এই তথ্যের ভিত্তিতেই তিনি অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফ আফজাল রাজন বলেন, “জমিটি নিয়ে সঠিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে বৈধ মালিকই জমির দখল পাবেন।”


সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।