শুক্রবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

তাড়াশে ‎প্রাণিসম্পদ খাতে আধুনিকায়নের বার্তা, খামারিদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ‎ ‎

খালিদ হাসান,তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: ‎চলনবিল অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি ও খামারিদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে “জাতীয় প্রাণিসম্পদ ও প্রদর্শনী ২০২৫” উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, খামারি ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে।

‎অনুষ্ঠানস্থলটি রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন ও ফুল দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। মঞ্চে আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রদর্শনীতে গবাদিপশু পালন, হাঁস-মুরগি ও ছাগল পালন, আধুনিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধ, টিকাদান কার্যক্রম এবং উন্নত জাতের পশু পরিচর্যার বিভিন্ন কৌশল তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে খামারিদের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়।

‎আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রাণিসম্পদ খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এবং গ্রামীণ জনপদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সরকারি সহায়তার মাধ্যমে এ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব। বক্তারা খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ, নিরাপদ পশুপালন ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ বাদল মিয়া। ‎প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুসরাত জাহান। ‎বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন। ‎ ‎প্রধান অতিথি ইউএনও নুসরাত জাহান তার বক্তব্যে বলেন, ‎ “খামারিদের উন্নয়নে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ধরনের প্রদর্শনী খামারিদের জ্ঞান বৃদ্ধি ও উৎসাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

” কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা বলেন, ‎ “এ ধরনের প্রদর্শনী খামারিদের জন্য নতুন প্রযুক্তি ও আধুনিক পশুপালন পদ্ধতি সম্পর্কে সরাসরি ধারণা লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।” মৎস্য কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন, ‎“মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের একত্রিত উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব।

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী খামারিরা জানান, এ আয়োজনের মাধ্যমে তারা নতুন প্রযুক্তি ও আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে সরাসরি জানার সুযোগ পেয়েছেন, যা তাদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ‎ ‎আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অনুষ্ঠানটি প্রাণিসম্পদ খাতে আগ্রহ সৃষ্টি ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়