মঙ্গলবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

উল্লাপাড়ায় বিএনপির মাঠপর্যায়ের জনপ্রিয় নেতা আজাদ হোসেন এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বিএনপি থেকে এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশার কথা জোরালোভাবে আলোচনায় এসেছে দলের একজন মাঠপর্যায়ের পরীক্ষিত নেতা আজাদ হোসেনের নাম।

দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে তিনি দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মাঝে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আজাদ হোসেন শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মীই নন, বরং একজন নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক হিসেবেও তিনি উল্লাপাড়ায় পরিচিত। বিগত সময়গুলোতে বিএনপির ডাকা প্রতিটি আন্দোলন, কর্মসূচি ও সংগ্রামে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। এজন্য তার বিরুদ্ধে ৬০টিরও অধিক রাজনৈতিক মামলা হয়েছে।

সরকারের দমনপীড়নের মুখে থেকেও তিনি পিছপা হননি। বরং দলের আদর্শে অবিচল থেকে তিনি একের পর এক কর্মসূচি পালন করে গেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই নিজের অর্থায়নে। দলীয় সংকটে যখন অনেকেই নিশ্চুপ ছিলেন, তখনও আজাদ হোসেন মাঠে সক্রিয় ছিলেন। উল্লাপাড়ায় বিএনপির ব্যানারে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনসহ নানা গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে তার নেতৃত্ব ছিল চোখে পড়ার মতো।

এমনকি অসহায়দের মাঝে খাদ্য ও শীতবস্ত্র বিতরণ, ছাত্রদল-যুবদলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ দলীয় কার্যক্রমকে গতিশীল করেছে। রাজনীতিতে পারিবারিক ঐতিহ্যঃ আজাদ হোসেনের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার পেছনে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবার।

তার বাবা, প্রয়াত আলী মেম্বার ছিলেন উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। তিনিও একসময় দলের কঠিন সময়গুলোতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাহসিকতার সঙ্গে। বাবার রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসেবে আজাদ হোসেন আজ দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন এবং তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতা হিসেবে জনগণের ভালোবাসা অর্জন করেছেন।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমর্থন তার পক্ষেঃ উল্লাপাড়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি যদি এই আসনে আজাদ হোসেনের মতো মাঠপর্যায়ে গ্রহণযোগ্য, পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে মনোনয়ন দেয়, তবে বিএনপি এ আসনে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবে। ইতোমধ্যে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ও আড়ালে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। উল্লাপাড়ার একজন ইউনিয়ন বিএনপির নেতা বলেন, “আজাদ ভাই মাঠে আছেন, আমাদের সুখ-দুঃখের সাথী।

পুলিশি হয়রানি, মামলা, জেল-জুলুম উপেক্ষা করে যেভাবে উনি আমাদের পাশে থেকেছেন, আমরা তাকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।” কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও সক্রিয় যোগাযোগঃ জানা গেছে, আজাদ হোসেন ইতোমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকদের সঙ্গেও সক্রিয় যোগাযোগ করছেন। তিনি তার রাজনৈতিক অবদান ও জনপ্রিয়তা তুলে ধরে মনোনয়নের আবেদন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার ঘনিষ্ঠরা।

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনটি বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে। এই আসনে বিএনপি একজন পরীক্ষিত, সাহসী ও জনসম্পৃক্ত নেতাকে প্রার্থী করলে নির্বাচনী সমীকরণে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আজাদ হোসেনের মতো নেতার মনোনয়ন দলকে মাঠে নতুন শক্তি দেবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়