সোমবার, ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পৌর শহরের খাঁনপাড়া ২০ পরিবারে সারা বছর বর্ষা কাল, ভরসা বাঁশের সাঁকো ও নৌকা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর শহরের খাঁনপাড়া ২০ টি প‌রিবা‌রে কা‌ছে সারা বছরই বর্ষা কাল। তা‌দের চলাচলের জন্য বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই ভরসা। অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মানুষ ঝুঁকি নিয়েই এই সাঁকো দিয়ে চলাচলে বাধ্য হচ্ছেন। বি‌শেষ ক‌রে বে‌শি বিপা‌কে পড়‌তে হয় স্কুলগামী কোমলম‌তি বাচ্চা‌দের। অ‌বিভাবকেরাও থ‌াকে আত‌ঙ্কে, না জা‌নি বাচ্চারা কখন দুর্ঘটনার শিকার হয়। এলাকাবাসী জানান, খোদ পৌর শহ‌রের ম‌ধ্যে এমন অবস্থা ভাবা যায়! তারা প্রশ্ন তো‌লেন পৌরসভা আমা‌দের আস‌লে কি সেবা দেয়!! এই যু‌গে পৌসভার ম‌ধ্যে আমা‌দের এমন জীবন যাপন কর‌তে হয়, এর চে‌য়ে অমান‌বিকতা আর কি হ‌তে পা‌রে! খাঁনপাড়া এলাকায়  জলাবদ্ধতা যেন নিত্যসঙ্গী। অবহেলিত এই এলাকার প্রায় ২০টি পরিবারের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র উপায় বাঁশের সাঁকো। উন্নয়নের ছোঁয়া না পাওয়া এ পাড়ায় নির্মিত হয়নি প্রয়োজনীয় রাস্তা। তাই দীর্ঘদিন ধরে তারা পণ্য পরিবহনসহ চলাচলের জন্য ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন এই বাঁশের সাঁকো দি‌য়েই। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, তাড়াশ পৌর শহরের সকল রাস্তা ঘাট থাকলেও এ রাস্তা এখনো করা হচ্ছে না কেনো? তা‌দের কা‌ছে সারা বছরই দু‌র্যোগ।

তাই বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ছাড়াও বছরের বেশি সময় এই খাঁনপাড়া পুকুরের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হয়। বর্ষার সময় যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয় নৌকা। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে পুকুরের পানি কমতে থাকায় যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোনো রাস্তা  না থাকায় খাঁনপাড়া মানুষকে এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলাচল করতে হয়। আর বর্ষা এলেই স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদের নিয়ে সাঁকো পার হওয়া সে এক ভংঙ্কর ব‌্যাপার। এ ব্যাপারে পৌর শহরের খাঁনপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম, মনি, মোজাহার, শাকিল, রাজিব, শরিফুল ইসলাম, জসিম উদ্দনসহ অনেকেই বলেন, এখানে রাস্তা না থাকায় প্রায় সারা বছরই কষ্ট করে পারাপার হতে হয়।

বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমাদের আতঙ্কের শেষ থা‌কে না। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক মোঃ খালিদ হাসান জানান, প্রাকৃতিক সমস্যার কারণে ও পুকুরের মধ্যে রাস্তা না থাকায় চলাচলের ভোগান্তি হয়েছে।  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়