বৃহস্পতিবার, ৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

উল্লাপাড়ায় যৌতুকের জন্য স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন শাশুড়ি ও ননদ গ্রেপ্তার

রায়হান আলী: উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের বড় ভৈরব গ্রামে যৌতুকের জন্য হৃদয় হোসেন বকুল তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (১৯)কে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে স্বামীকে সহযোগিতা করে তার মা বুলবুলি খাতুন ও বোন সুমনা। বুধবার (৭ মে) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। রাবেয়া খাতুনকে হত্যার পর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেবার জন্য তার মরদেহ ঘরের ধর্ণার সাথে ফাঁসির মতো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার বেলা ২ টার দিকে রাবেয়ার শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করেছে। স্বামী ও তার পরিবারের অপর লোকজন পালিয়ে গেছে।

রাবেয়া খাতুন উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানি গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে। ৩ মাস আগে খলিল হোসেন ওরফে লোহা খলিলের ছেলে হৃদয় হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।   এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূ রাবেয়া খাতুনের বাবা রুহুল আমিন উল্লাপাড়া মডেল থানায় দেওয়া হত্যা মামলায় অভিযোগ করেন, ৩ মাস আগে তার মেয়ের সঙ্গে উক্ত হৃদয় হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বর পক্ষ ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এতো টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে তখন তারা জানান। বিয়ের আসরে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে বাকি টাকার জন্য ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে স্বামী ও তার স্বজনরা। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো।

হৃদয় স্ত্রীর উপর নির্যাতন করত। অবশেষে গত বুধবার রাতে হৃদয় তার মা, বোন ও স্বজনদের সহযোগিতায় রাবেয়াকে হত্যা করে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে তাদের ধারণা। এরপর মৃত্যুর ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেবার জন্য রাবেয়ার মরদেহ ঘরের ধর্ণার সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রাখে হত্যাকারীরা। এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত রাবেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাবেয়ার বাবা রুহুল আমিন বাদী হয়ে স্বামী হৃদয় হোসেন বকুল, শাশুড়ি বুলবুলি খাতুন, ননদ সুমনাসহ মোট ৮ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ইতোমধ্যে কথিত শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করেছে।

ঘটনার পরই স্বামী পালিয়ে যায়। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কীভাবে রাবেয়াকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না বলে উল্লেখ করেন ওসি।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়