শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

নাগরপুরে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, স্কুলে যেতে ভোগান্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

মনিরুল ইসলাম, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের মেঘনা উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র সেতুটি এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বহু বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর কাঠামোতে ফাটল ধরেছে, নিচের মাটি ধসে পড়েছে এবং কয়েকটি অংশ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাময়িকভাবে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্ষাকালে খালের পানি জমে সেতুটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। প্রতিদিন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসে।

বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার রাস্তাটিও এখনো কাঁচা। বৃষ্টির সময় কাদা ও পানি জমে শিক্ষার্থীদের চলাচল আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এখানে ৮৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছেন এবং পাঠদান করছেন ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। বিদ্যালয়টির EMIS কোড ৩০৬০৯১০০৪ এবং জমির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ।

শিক্ষার্থীরা বলেন,“আমরা ভয় পাই সেতু পার হতে। তবুও স্কুলে আসতে হয়। স্কুলে আসার রাস্তাটাও কাঁচা, বৃষ্টিতে কাদা হয়ে যায়—তখন হাঁটাও কষ্টকর হয়ে পড়ে।”

অভিভাবকরা বলেন,“প্রতিদিন সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে।”তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুলসুম আক্তার বলেন,“বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই ভাঙা সেতু পার হয়ে স্কুলে আসে। সেতুর কাঠের তক্তা অনেকখানি ক্ষয়ে গেছে, বাঁশের ওপর দিয়ে পারাপার করতে হয়। বর্ষার সময়ে সেতুটি পিচ্ছিল হয়ে যায় এবং নিচে খালের পানি ওঠে, তখন পড়ার ঝুঁকি আরও বাড়ে। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, আশেপাশের গ্রামের মানুষও এই সেতু ব্যবহার করেন। আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত দরখাস্ত দিয়েছি। আশা করি প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে, না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার বলেন,”বিষয়টা আমরা সরজমিনে পরিদর্শন করে জেনেছি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ঝুকিমুক্ত পাঠদানের বিষয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলমান রয়েছে।”

এলাকাবাসী বলেন,“দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই সেতুর সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছি। যদি সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করা হয়, তাহলে শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, আশেপাশের চারটি গ্রামের মানুষও উপকৃত হবে।”

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়