বুধবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কামারখন্দে বক্স বাজিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ।

কামারখন্দ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নাইম হোসেন (২০) নামের এক বখাটের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কামারখন্দ থানায় মামলা করেছে।

ওই ভুক্তভোগী কিশোরী উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের কর্ণসূতি গ্রামের বাসিন্দা ও কর্ণসূতি দাখিল মাদ্রাসার ৭ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।  আর নাইম হোসেন উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, রোববার বেলা সাড়ে দশটার দিকে ওই কিশোরী কর্ণসূতি তালুকদার করবস্থানের দোকানে কলম কেনার জন্য বের হলে  রাস্তা থেকে জোড় করে সিএনজিতে তুলে নিয়ে উপজেলার জামতৈল সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন এলাকার “ডেরা ফাস্ট ফুড এ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট” এর ভিতরে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। এতে সহযোগিতা করে ওই বখাটের পাঁচ বন্ধু।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ডেরা ফাস্ট ফুড এ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নাইম নামের ওই বখাটে কিশোরীকে ধর্ষণ করার সময় যাতে ওই কিশোরী চিৎকার কেউ শুনতে না পায়  এজন্য ইমরান (২২), আকাশ (২১), আতিক(২৩), নাছিম উদ্দিন (২০) ও নাজমুল হক নয়ন (২০) ডেরা রেস্টুরেন্টে গেটে পাহাড়া দেয় এবং জোড়ে জোড়ে বক্সে গান বাজায়।

ওই কিশোরীর মা অভিযোগে করে বলেন, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় যায়। মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পরেও যখন বাড়ি না আসে তখন খোঁজাখুঁজি করি। তখন হঠাৎ করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মুঠোফোনে কল দিয়ে জানায় আপনার মেয়ে অসুস্থ অবস্থার সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকের আছে। পরে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের অবস্থা খুব খারাপ পরে তাকে এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে ওই বখাটেওরা  জোড় করে তুলি নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। সোমবার সকালে ডাক্তার তার বিশেষ অঙ্গে অপারেশন করেছে।

সরেজমিনে সাংবাদিকরা ওই ডেরা ফাস্ট ফুড এ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক রেস্টুরেন্টে খুলে আড্ডা দিচ্ছে। সাংবাদিক দেখে তারা উত্তেজিত হয়ে চড়াও হয়। পরে পুলিশ গিয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে তুলে নিয়ে যায়। এবং আলামত সংগ্রহের জন্য রেস্টুরেন্টটি সাময়িক বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

স্থানীয়দের অভিযোগ কামারখন্দ সেন্টাল পার্ক সংলগ্ন এলাকার ওই রেস্টুরেন্টে অবিবাহিত কিশোর-কিশোরীরা অসামাজিক কাজ করেন। এছাড়া মাঝে মাঝে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটাই বখাটেরা। এজন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছে স্থানীয়রা।

কামারখন্দ থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই)বাবুল আকতার বলেন, আলামত সংগ্রহের জন্য রেস্টুরেন্টটি বিকেলে বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।

রাতে কামারখন্দ থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, কিশোরীর মা বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়