বিজেপি: ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর


সংবাদের আলো ডেস্ক: ভারতকে অস্থিতিশীল করতে যুক্তরাষ্ট্রের “ছায়া রাষ্ট্র” (ডিপ স্টেট) কাজ করছে এবং এর পেছনে মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর রয়েছে বলে দাবি করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল “ভারতীয় জনতা পার্টি” (বিজেপি)। দলটি বলছে, এই তৎপরতার সঙ্গে একদল অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী জড়িত।ডিপ স্টেট বলতে কোনো দেশের সরকারের ওপর গোপনে নিয়ন্ত্রণ করা সরকারি বা সামরিক কর্মকর্তাদের সংঘকে বোঝায়।
-
বিজেপি’র অভিযোগ, মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর মিডিয়া গ্রুপ “অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড কোরাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট” (ওসিসিআরপি)-এ অর্থায়ন করে ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
- বিজেপি বলেছে, ভারতের আদানি শিল্পগোষ্ঠী এবং তাদের সঙ্গে বিজেপি সরকারের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ওসিসিআরপি। ওই প্রতিবেদন নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস দল।
- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) করা ধারাবাহিক পোস্টে বিজেপি বলেছে, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্যবস্তু করে ভারতকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে ডিপ স্টেট। এই এজেন্ডার পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। ওসিসিআরপি এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ‘মিডিয়া টুল’ হিসাবে কাজ করেছে।”
- বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “একটি ফরাসি অনুসন্ধানী মিডিয়া গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, ওসিসিআরপি’র তহবিলের ৫০% সরাসরি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে আসে।”
- এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ওসিসিআরপি বলেছে, “তারা স্বাধীন গণমাধ্যম। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই তাদের। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ওসিসিআরপিতে কিছু অর্থায়ন করে থাকে। তবে গণমাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতি ও প্রতিবেদনের ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।”
- দুই দশক ধরে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক জোরালো। কিছু ভিন্নতা ও উত্তেজনা থাকার পরও এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে দুই দেশ। এমন সময় এই অভিযোগ বিস্ময়কর বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।