শরীরে বোমা বেঁধে পাকিস্তানে হামলা চালাতে যাবেন ভারতের মন্ত্রী


সংবাদের আলো ডেস্ক: শরীরে আত্মঘাতী বোমা বেঁধে পাকিস্তানে হামলার হুমকি দিয়েছেন ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের একজন মন্ত্রী। শুক্রবার (২ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের আবাসন, ওয়াকফ ও সংখ্যালঘুকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী বিজেড জামির খান এ হুমকি দেন। তিনি বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়, আমি শরীরে আত্মঘাতী বোমা বেঁধে পাকিস্তানে যেতে প্রস্তুত।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে মন্ত্রীর এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেশজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি এমন সময় এই বক্তব্য দিয়েছেন যখন কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ বন্দুক হামলাকে কেন্দ্র করে দুদেশের সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
জামির খান বলেন, ‘আমি ভারতীয়, হিন্দুস্তানি। আমাদের পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। যদি ভারতের পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়, তাহলে আমি সম্মুখসারিতে যেতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে আমি আত্মঘাতী বোমা পরব। আমি মজা করছি না, এটি একেবারেই আমার আন্তরিক ইচ্ছা।’
তিনি আরও বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বলতে চাই—যদি আমাকে দেশের জন্য দরকার হয়, আমাকে আত্মঘাতী বোমা দিন। আমি পাকিস্তানে যাব।
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরপরই সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষ করে একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন মন্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
তার এই মন্তব্য নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব ও মিডিয়ার একাংশ ব্যাপক সমালোচনা করছে। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী জামির খানের বক্তব্য অনেকেই কংগ্রেসের অবস্থান থেকে ভিন্ন বলে মনে করছেন।
মন্ত্রী জামির খানের বক্তব্য কংগ্রেসের শান্তির বার্তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। বিজেপি ইতিমধ্যেই বিষয়টিকে কংগ্রেসের “দ্বিচারিতা” হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছে, একদিকে মুখ্যমন্ত্রী যুদ্ধের বিপক্ষে কথা বলেন, অন্যদিকে কংগ্রেসের মন্ত্রী আত্মঘাতী হামলার কথা বলেন—এ কেমন দল?
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও একে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক মন্তব্য’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন বক্তব্য নতুন কিছু নয়। তবে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আত্মঘাতী হামলা বা সহিংসতার ইঙ্গিতমূলক বক্তব্য সম্প্রতি উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এতে শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা নয়, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।