স্কুলে ভর্তিতে লটারি শুরু, ফল জানা যাবে যেভাবে
সংবাদের আলো ডেস্ক: সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারি চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ লটারি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্নের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফল প্রকাশিত হবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা gsa.teletalk.com.bd—এ লিংক থেকে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন।
এদিন সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বড় স্ক্রিন বসানো হয়েছে। স্ক্রিনে একের পর এক স্কুলের নাম, আবেদনকারীদের আইডি ভেসে উঠছে। তাতে অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হচ্ছে।
স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারি সরাসরি দেখতে এখানে facebook.com/share/v/1AjzpikS2p ক্লিক করুন।
মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জাগো নিউজকে জানান, প্রথমে তারা সরকারি স্কুলের লটারি করছেন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি সম্পন্ন হচ্ছে। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ সরকারি স্কুলের লটারি শেষ হয়েছে। আর ১৭ শতাংশ বেসরকারি স্কুলের লটারি হয়েছে। এটি শেষ হতে দুপুর সাড়ে ১২টা বাজতে পারে। দুপুর ২টার দিকে ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
ফল জানা যাবে যেভাবে
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের লটারির ফলাফল জানতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে মাউশি। তারা ঘরে বসে অনলাইনে দ্রুত ফলাফল জানতে পারবেন।
লটারির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ফলাফল জানতে পারবেন। মাউশির দেওয়া gsa.teletalk.com.bd—এ লিংকে প্রবেশ করে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
মাউশি জানায়, লটারির পর নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে। ডাউনলোড করা ফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ই-মেইলে পাঠিয়ে মাউশিকে অবহিত করবে। নির্বাচিতদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সভা ডেকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মাউশি সূত্র জানায়, গত ২১ নভেম্বর থেকে অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গত ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সফলভাবে আবেদন করেছে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী।
২০২৬ শিক্ষাবর্ষে চার হাজার ৪৮টি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এবার সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৬৮৮টি এবং বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা তিন হাজার ৩৬০টি।
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট শূন্য আসন ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি। সরকারি স্কুলে শূন্য আসন ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি। বিপরীতে আবেদন করেছে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪ জন। ফলে সরকারি স্কুলে প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ছয়টি।
আর বেসরকারি স্কুলে শূন্য ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। সেই হিসাবে সব শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেলেও ৭ লাথ ৩৬ হাজার ৫৫টি আসন শূন্যই থাকবে।



সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।