মানিকগঞ্জে ছেলের মরদেহ দেখেই মায়ের মৃত্যু


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ছেলের মরদেহ বাড়িতে আসার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই শোকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন মা রেহেলা আক্তার (৬৯)। ঘটনাটি ঘটেছে সাটুরিয়ার ধানকোড়া ইউনিয়নের সাহেবপাড়া গ্রামে।
মৃত আনছার আলীর কনিষ্ঠ পুত্র আব্দুল আওয়াল (৪১) বেশ কিছুদিন ধরে ডেঙ্গু জ্বরে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকার সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাতে তার মৃত্যু হয়।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে আওয়ালের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সন্তানের মরদেহ বাড়িতে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই মা রেহেলা আক্তার (৬৯) কান্নায় ভেঙে পড়েন। মাটিতে বসে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ছেলের মরদেহ দেখার পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে মায়ের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকায় বইছে শোকের ছায়া।
মৃত আব্দুল আওয়ালের বড় ভাই এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ছোট ভাইয়ের মৃত্যু আমাদের পরিবারকে শোকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু মা যেভাবে তার মৃত্যুর সংবাদে চলে গেলেন, তা কোনোভাবেই ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এমন মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নেওয়া আমাদের জন্য খুবই কঠিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার ভাইয়ের মধ্যে সবার আওয়াল ছিলেন ছোট। তিনি স্থানীয় বাজারে ওষুধের দোকান পরিচালনা করতেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।