তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপরে,রেড অ্যালার্ট জারি ; লোকজনকে নিরাপদ স্থানে যেতে পাউবোর মাইকিং।।


লালমনিরহাট প্রতিনিধি: তিন দিনের ভারী বর্ষন আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ২৭সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ফলে নতুন করে টান তীর ও বাম তীরের জেলা লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলে বন্যার শ্বঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা সতর্কীকরন কেন্দ্রের দাবি, রাতে তিস্তার পানি রাতে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।রোববার (৫ অক্টোবর) রাত ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪২ মিটার।
যা বিপদসীমার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার) ২৭সেন্টিমিটার উপরে।স্থানীয়রা জানান, গত ৩ দিনের ভারি বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। রোববার সকাল থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯ ঘন্টার ব্যাবধানে ৮০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বিকেল ৩ টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা ক্রমেই বেড়ে ২৭সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। ফলে নদী তীরবর্তি নিম্নাঞ্চলের বেশ বিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে পানিবন্দিদের তালিকা এখনো পাওয়া যায়নি।
পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে ডুবে গেছে মৎস খামাড়, আমন ধানসহ নানান জাতের সবজির খেত। ডুবে গেছে চরাঞ্চলের রাস্তা ঘাট। তীরবর্তি অনেক মানুষ নৌকায় যোগাযোগ করছে।বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ। রোববার বিকেল ৩ টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে নদী তীরবর্তি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তবে আগামী ১২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ উত্তরের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।গোবর্দ্ধন গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
চরাঞ্চলের রাস্তা ঘাট ডুবে গেছে। অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, ডুবে গেছে আমন ধানের খেত। সময় যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বলেন, তিস্তা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ২৭সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন,ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। রাতে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে। আগামী ১২ ঘন্টা তিস্তার পানি আরো বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এতে নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে আহবান জানান তিনি।লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শায়খুল আরিফিন বলেন, বর্তমানে তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চলে রোপা আমন, চিনা বাদাম ও শাকসবজির চাষ হচ্ছে। পানি যদি তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হয় তাহলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।