মঙ্গলবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পূর্বধলায় সেপটিক পচনে আক্রান্ত শহীদ মিয়ার পাশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসন

আব্দুল্লাহ আল মামুন, পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: দুরারোগ্য সেপটিক পচনে আক্রান্ত নেত্রকোণার পূর্বধলার অসহায় শহীদ মিয়াকে (৪২) সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। উন্নত চিকিৎসার জন্য আরও কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও প্রাথমিকভাবে ৩৫ হাজার টাকা ও খাদ্যসামগ্রী পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে তাঁর পরিবার।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিসুর রহমান খান উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের আন্দা গ্রামে গিয়ে শহীদ মিয়ার পরিবারের হাতে নগদ ৩৫ হাজার টাকা তুলে দেন। এর মধ্যে জেলা প্রশাসন দিয়েছে ৩০ হাজার টাকা এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া খাদ্যসামগ্রীও দেওয়া হয়।

পরিবারের সদস্যরা জানান, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি শহীদ মিয়া গত তিন মাস ধরে সেপটিক পচনে ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হলেও অর্থের অভাবে ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা প্রয়োজন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের নজরে আসে। তাঁর নির্দেশে ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

শহীদ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁর পায়ের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে এবং দুর্গন্ধের কারণে  কাছে যাওয়া যায় না। প্রশাসনের এই সহায়তা কিছুটা স্বস্তি দিলেও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আরও কয়েক লাখ টাকা কীভাবে জুটবে, সেই দুশ্চিন্তা কাটছে না। তাঁরা সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আনিসুর রহমান খান জানান, গত ১ অক্টোবর স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টাল পূর্বধলা দর্পণ এর মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের বিষয়টি নজরে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি পরিবারটির প্রয়োজনীয় সহায়তার খোঁজ নিতে নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশনার ভিত্তিতেই পরিবারটিকে প্রাথমিকভাবে ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

ইউএনও আরও জানান, জেলা প্রশাসক পরিবারটির ভাঙা ঘর মেরামত ও তাঁদের জীবনধারণের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের এই মানবিক সহায়তায় শহীদ মিয়ার পরিবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তবে তাঁরা আশা করছেন, সমাজের বিত্তবান মানুষেরা এগিয়ে এলে শহীদ মিয়ার উন্নত চিকিৎসার পথ সুগম হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়