কাজিপুরে মাদ্রাসা সুপারের স্ত্রী পেটালেন মৌলভী শিক্ষককে


কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের খাসরাজবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপারের স্ত্রী প্রকাশ্যে পেটালেন ওই মাদ্রাসার এক সহকারি শিক্ষককে। এই ঘটনায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ক্লাস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি জানিয়েছে। গত রবিবার সরেজমিনে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে জানা গেছে খাসরাজবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপার শামসুল আল-আমিনের বিরুদ্ধে শিক্ষকগণ চরম অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে মাদ্রাসায় কিছুদিন যাবৎ সুপারের সাথে শিক্ষকদের বনিবনা হচ্ছিল না।
সুপারের নানা অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় গত মঙ্গলবার দুপুরে সহকারী মৌলভী শিক্ষক আব্দুল লতিফকে রাস্তা দিয়ে যাবার সময়ে প্রকাশ্যে সুপারের স্ত্রী বেধড়ক মারধর করেন। এই ঘটনাটি জানাজানি হলে মাদ্রাসা এলাকা ও আশপাশে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই মাদ্রাসার শিক্ষকগণ জানান টিউশন ফির টাকা, পরীক্ষা ও ফরম ফিলআপের টাকা মাদ্রাসার সুপার এককভাবে নেন। কোন শিক্ষক বলতে গেলে তাদেরকে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়। সম্প্রতি এসব জানাজানি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় এলাকাবাসীও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
ওই মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানান, আমরাতো সুপার স্যারের নিকট থেকে ভালো আচরণ আশা করি। কিন্তু তিনি এবং তার স্ত্রী এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করবেন ভাবতে পারি নাই। আমরা এর বিচার চাই। রবিবার মাদ্রসার সুপার শামসুল আল-আমিন শিক্ষক মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমার স্ত্রী একটু উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিল। এমন ঘটনা আর ঘটবে না।এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান আকরামুল হক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।