লালমনিরহাটে শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট


নুরুল ফেরদৌস, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : শেষ সময়ে লালমনিরহাট কালীগঞ্জে গরুর হাটে কেনা-বেচা জমে উঠেছে। বুধবার(৪জুন) লালমনিরহাট কালীগঞ্জে সবচেয়ে বড় গরুর হাট শিয়ালখোওয়া হাটে গিয়ে দেখা গেছে কোরবানির পশুর জমজমা কেনাবেচা।
ছোট সাইজের গরু ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। মাঝারি সাইজের গরু এক থেকে দুই লাখ টাকা।বড় গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। তবে ছোট সাইজের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
দুহুলী এলকার নুর মোস্তফা ৭৫ হাজার টাক দিয়ে একটি গরু কিনেছেন। তার মতে এবার দাম অনেক কম বলে মনে হয়।
নিথক এলাকার খামারি আলমগীর হোসেন আলম বলেন, গো-খাদ্যসহ সব খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার দাম কিছুটা বেশি পড়েছে। তাই লাভ কম হবে। লালমনিরহাট কালীগঞ্জে বিভিন্ন হাটে কাকিনা, চাপারহাট, শিয়ালখোওয়াসহ বেশ কয়েটি গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে ছোট সাইজের গরু ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা, মাঝারি সাইজের গরু এক লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং বড় সাইজের গরু আড়াই থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় সাইজের গরুর চাহিদা খুবই কম।
ছোট এবং মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
অপরদিকে প্রতিটি খাসি এবং ছাগল বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. ফেরদৌসুর রহমান বলেন, গরুর হাট ও খামারে আমাদের মনিটরিং টিম কাজ করছে। এবারের ঈদেও প্রতিটি পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে। যাতে কেউ কেমিক্যাল বা স্টেরয়েড ব্যবহার করা গরু ছাগল এবং রোগাক্রান্ত গবাদি পশু বিক্রি করতে না পারেন।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা কোরবানিযোগ্য গরু ,মহিষ, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে ৩৫ হাজার ৮শ’ ৫০টি। যেখানে চাহিদা রয়েছে ২৮ হাজার ২শ’ ৮০টি গরুর। এ উপজেলায় চাহিদার তুলনায় গবাদিপশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।