মঙ্গলবার, ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: তারেক রহমান

সংবাদের আলো ডেস্ক: পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে এনডিএমের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় তারেক রহমান বলেন, সংস্কার নিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রেখেছে সরকার। ১০ মাসেই সরকারের ভেতরে ও বাইরে এবং দেশে অস্থিরতা বাড়ছে। এভাবে অস্থিরতা বাড়তে থাকলে সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। সরকার কি ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন? এমন প্রশ্ন সবার।

তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলবো পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। জনগণের ভোটে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা না করা গেলে পতিত স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না। লোভ-প্রলোভন থেকে মুক্ত থেকে অন্তবর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে, বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব পালন করবে এই আশা করছি।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোই অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য তাদের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একটি রোড ম্যাপ ঘোষণা আহ্বান জানিয়েছে আসছে। সব কিছু বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাই সরকার সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে এবং জুলাই আন্দোলনে হাজারো মানুষের প্রাণের বিনিময়ে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক বৈধতার ভিত্তি রচিত হয়েছে। অথচ জুলাই আগস্টের আন্দোলনে কতজন শহীদ হয়েছে কতজন আহত হয়েছেন, দশ মাসেও কিন্তু সরকার শহীদদের তালিকা ও সংখ্যা চূড়ান্ত করতে পারেনি। অথচ যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় কতজন মানুষ শহীদ হয়েছেন আহত হয়েছেন, এই মুহূর্তে যদি গুগলে সার্চ করা যায় তাহলে হতাহত মানুষের পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে।

বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, এখন যদি জুলাই আগস্টের শহীদদের হতাহতদের তথ্য কেউ জানতে চান তাহলে কী নির্দিষ্ট সেই তথ্য পাওয়া যাবে? এ ব্যাপারে কিন্তু বিরাট সন্দেহ বা প্রশ্ন রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে গণঅভ্যুত্থানের সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে দশ মাসেও যদি জুলাই আগস্টের শহীদদের তালিকা চূড়ান্ত না করতে পারে, তাহলে সেটা সরকারের সক্ষমতা বহন করে কিনা এই প্রশ্নটি রেখে যাচ্ছি। এখানে আরেকটি প্রশ্ন এসে যায় সরকার কী হতাহতদের ব্যাপারে উদাসীন নাকি ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন? এটি দেশের বহু মানুষের বড় জিজ্ঞাসা।

বর্তমান সরকার জবাবদিহি মূলক নয় মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আবারো স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, করিডোর কিংবা বন্দর দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়। এই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ বা জনগণের সরকার। বর্তমান সরকারের আইনগত ও রাজনৈতিক বৈধতা নিয়ে হয়ত প্রশ্ন নেই। তবে এই সরকার কোনোভাবেই জনগণের কাছে জবাবদিহি মূলক সরকার নয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর সংস্কার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, এনবিআর সংস্কার নিয়ে তেমন কোনো দ্বিমত নেই। তবে সংশ্লিষ্ট সঙ্গে আলোচনা না করে তড়িঘড়ি করে সংস্কার শুরু করায় হিতে বিপরীত হয়েছে। নিয়মিত রাজস্ব আদায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে চলতি বছরের হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, মহাসচিব মমিনুল আমিন, উচ্চ পরিষদ সদস্য পারভেজ খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের নেতা।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়