টঙ্গীবাড়ীতে এক কবর খুঁড়েই ১৪টি কঙ্কাল চুরি


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার যশলং কবরস্থান থেকে এক রাতেই ১৪টি কঙ্কাল চুরি হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরের দল ওই কবরস্থানের বিভিন্ন পুরোনো কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে কঙ্কালগুলো চুরি হয়। আজ বুধবার সকালে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পারেন। এলাকার শত শত মানুষ কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ভিটি মালধা গ্রামের বাসিন্দা পনির মোল্লা বলেন, গতকাল আমার মা মারা গেছে। সকালে মায়ের কবর খুঁড়তে এসে দেখা যায় পাশের কয়েকটি কবর খুঁড়া। পরে লোকজন খবর দিলে তারা এসে দেখে গোরস্থানে প্রায় ১৬টি কবর খুড়া রয়েছে। যারা এসব কাজ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং পরবর্তীতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
স্থানীয় সুমন মোল্লা নামের এক ব্যক্তি বলেন, কবর খুঁড়ে আমার বাবার লাশ এর মাথা ছিঁড়ে নিয়ে গেছে। তবে লাশের বাকি অংশ কবরে রয়েছে। এলাকাবাসী বলেন, আজ ভোরে কয়েকজন স্বজন ওই কবর জিয়ারত করতে যান। এ সময় তাঁরা কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের খবর দেন। লোকজন এসে ১৬টি কবর খুঁড়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পান।
গোরস্থান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আক্তার শেখ বলেন, গোরস্থানে এসে দেখি বেশ কয়েকটি কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছে তবে প্রায় ৭/৮টি কবরের কঙ্কাল পাওয়া যায়নি। যশলং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু সালাম শেখ বলেন, আমি খবর পেয়ে গোরস্থানে এসে দেখি ১৪টি কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে। পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে।
এদিকে কঙ্কাল চুরির খবর পেয়ে এলাকার শত শত মানুষ কবরস্থানে গিয়ে ভিড় করেন। বেশ কয়েকজন স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশলং এই কবরস্থান থেকে এভাবে কঙ্কাল চুরির ঘটনা এ এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি। এটা আতঙ্কিত হওয়ার মতো একটি ব্যাপার। যাতে পরবর্তীতে এমন ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। টঙ্গিবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।