ভূঞাপুরে মার্কেটগুলোতে ঈদের আমেজ


আখতার হোসেন খান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ভিড় এড়াতে রমজানের শুরুতেই কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ভূঞাপুরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। তবে বেড়েছে চোরচক্রের উপদ্রব। সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের মসজিদ মার্কেট, ডাঃ গোলাপ হোসেন প্লাজা, মৌরিন সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটেই ক্রেতাদের ভীড় লেগে আছে। সেই তুলনায় পিছিয়ে নেই ফুটপাতের ব্যাবসায়ীরা। নিম্ন আয়ের মানুষগুলো তাদের সাধ্যের মধ্যেই প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে ঈদের কেনাকাটা করছে। ভিড় এড়াতে রমজানের শুরুর দিকেই ঈদের কেনাকাটার ঝামেলা সেরে ফেলছেন অনেকেই। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শুক্রবার এবং শনিবার শহরের বড় বড় মার্কেটসহ আশপাশের বিভিন্ন বিপণী কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ভূঞাপুর শহরের প্রিয়জন বস্ত্রবিপণী, সানী বস্ত্রালয়, আদিবা ফ্যাশন, সৈকত গার্মেন্ট, এসব সনামধন্য দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের বাড়তি ভিড়ের চিত্র দেখা যায়।
তবে ক্রেতারা জানান ভিন্ন কথা। তারা বলেন, গত বারের তুলনায় তেমন আধুনিক কোন কিছু পাচ্ছিনা এবং দামের দিক থেকে অনেক বেশি। পরিবার এবং সন্তানদের মুখে হাশি ফুটিয়ে তুলতে বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে। এদিকে বিক্রেতারা জানান, রমজানের প্রথম শুক্রবার শহরের মার্কেটগুলো জমতে শুরু করলেও বেচাকেনা তেমনটা নেই। আমাদের থেকে ফুটপাতেই ভিড় বেশি। পুরো এলাকা ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম। দোকানিরা জানান, কেউ আসছেন কিনতে, কেউবা নতুন কালেকশন দেখতে। তবে অনেক বিক্রেতা বলেছেন, এখনো পুরোপুরি ঈদের বাজার জমে ওঠেনি। পরের শুক্রবার থেকে মনে হচ্ছে ভিড় হবে। সানী বস্ত্রালয়ের মালিক ইবরাহীম খলিল জানান, কেনাকাটা আগের তুলনায় আজ ভালো। তবে বেশির ভাগ ক্রেতা ঘুরে ঘুরে কিনছেন এবং দেখছেন। ঈদের জন্য পছন্দের পোশাক কিনতে ভিড় করেছেন নানা বয়সী ক্রেতারা। অনেকেই কেনাকাটা করছেন, আবার অনেকে ঘুরেফিরে দেখছেন। তিনি আরো জানান, সম্প্রতি একদল মহিলা চোরচক্র বের হয়েছে।
তারা কাপড়ের দোকানে কেনাকাটার উদ্দেশ্য নিয়ে বসে কাপড় চুরি করে। এছাড়া মহিলা ত্রেতাদের টার্গেট করে তাদের ব্যাগ থেকে অভিনব কায়দায় টাকা চুরি করছে। উপজেলার নলীন এলাকা থেকে কেনাকাটা করতে আসা তাসনিয়া জানান, ‘প্রতিবছরই কেনাকাটা করতে একা আসি অথবা ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে আসি কিন্তু এবার সাহস পাই নাই, তাই ছেলের বাবাকে সাথে নিয়ে এসেছি। একদিকে ছিনতাই হয় আরেকদিকে চোর। ঈদের সামনে মার্কেটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করা দরকার। আরিফুল নামে একজন বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদের কেনাকাটা আমার স্ত্রী একাই সেরে ফেলে। এবার আমি তাকে একা আসতে নিষেধ করেছি। চুরি ছিনতাই বেড়ে গেছে। তাই আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি তার পছন্দে কেনাকাটা করতে। জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে আসা মো. রাতুল বলেন, ‘শেষ দিকে মার্কেটে খুব চাপ থাকে। তাই আজই শপিং সেরে ফেললাম। টুকটাক কিছু জিনিস পরে কিনে নেব। আজ মা-বাবার জন্য কেনাকাটা করলাম।’ ফুটপাতের কাপড় বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বেচাকেনা হচ্ছে, তবে কম। রোজার তো মাত্র শুরু, জমতে কিছুদিন সময় লাগবে। ঈদের বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। যদিও লোকজনের ভিড় দেখা যাচ্ছে। তবে ১৫ রোজার পর বাজার জমজমাট বেশি হবে। কাস্টমাররা ঈদের কেনাকাটা শুরু করবেন আরও কিছুদিন পর। যারা আসছেন তারা কমবেশি কিনছেন।



সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।