বুধবার, ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

আন্দোলনের সময় যে টর্চার সেলে রাখা হয়েছিল, শনাক্ত করলেন নাহিদ ও আসিফ

সংবাদের আলো ডেস্ক: জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ডিজিএফআইয়ের টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল। আজ বুধবার সেই টর্চার সেল পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষগুলো শনাক্ত করেন তাঁরা। প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব শুচিস্মিতা তিথি আজ বুধবার তাঁর ফেসবুকে দেওয়া পৃথক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার রাজধানীর তিনটি এলাকায় গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেছেন, যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত। শুচিস্মিতা তিথি আজ তাঁর ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে একটি কক্ষের কয়েকটি ছবি দিয়েছেন। একটি ছবিতে নাহিদ ইসলাম রয়েছেন। শুচিস্মিতা তিথি লিখেছেন, গত জুলাইয়ে সাদাপোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চার সেলে (নির্যাতনকেন্দ্র) রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলামকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি শনাক্ত করেন নাহিদএই কক্ষের এক পাশে টয়লেট (শৌচাগার) হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়। শুচিস্মিতা তিথি আজ তাঁর ফেসবুকে দেওয়া আরেকটি পোস্টে অপর একটি কক্ষের কয়েকটি ছবি দিয়েছেন। একটি ছবিতে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রয়েছেন। শুচিস্মিতা তিথি লিখেছেন, গত জুলাইয়ে সাদাপোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি চিনতে পেরেছেন তিনি। দেয়ালের ওপরের অংশের খোপগুলোয় এগ‌জোস্ট ফ্যান ছিল বলে জানান তিনি। এদিকে আলোচিত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এটা বীভৎস দৃশ্য। মানুষের মনুষত্ববোধ বলতে কোনও জিনিস আছে, সেটা থেকে বহু গভীরে নিয়ে গেছে তা (মনুষত্ব) নিশ্চিহ্ন করার জন্য। নৃশংস অবস্থা…. প্রতিটি জিনিস যে এখানে হয়েছে। যতটুকু শুনেছি, এটা অবিশ্বাস্য মনে হয়… এটা কি আমাদেরই জগত? আমাদেরই সমাজ?’এসব ‘নির্যাতন সেল’ এবং ‘গোপন কারাগারের’ ভুক্তভোগীদের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যারাই নিগৃহীত হয়েছেন, যারা এটার শিকার হয়েছেন; তারাও আমাদের সঙ্গে আছেন। তাদের মুখ থেকেই শুনলাম- কীভাবে হয়েছে। কোনও ব্যাখ্যা নেই।… বিনাকারণে রাস্তা থেকে উঠিয়ে আনা হলো, বিনাদোষে কতগুলো সাক্ষী তৈরি করে কোনও একটা ঘটনায় ঢুকিয়ে দিয়ে বলা হলো- তুমি সন্ত্রাসী, জঙ্গি। এগুলো বলে বলে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এধরনের ইন্টারোগেশন সেল, টর্চার সেল দেশজুড়ে আছে, সেটা শুনলাম আজকে। আমার ধারণা ছিল, এই আয়নাঘর শুধু এখানেই (রাজধানীতে) যে কয়েকটা আছে। এরপর আজ শুনলাম এগুলোর বিভিন্ন ভার্সন সারা দেশে আছে। কেউ বলছেন ৭০০, কেউ বলছেন ৮০০; সংখ্যাও নিরুপণ করা যায়নি, কতটা আছে। এরমধ্যে কতগুলো জানা আছে, কতগুলো অজানা।’

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়