সংবাদের আলো ডেস্ক: ঘুমন্ত অবস্থায় থেকে মাত্র ৪ বছরের শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে অপহরণ করে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) গভীর রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

দেশটির স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে কলকাতার হুগলিতে ঘুমন্ত অবস্থায় দাদির পাশে থাকা ৪ বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণের পর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।

হুগলি গ্রামীণ পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বানজারা সম্প্রদায়ের ওই ভুক্তভোগী তারকেশ্বরের রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রাতে ঘুমাচ্ছিল। সেখান থেকে দুষ্কৃতীকারীরা শিশুটিকে তুলে নিয়ে যায়। পরে শনিবার বিকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি ড্রেনের মধ্যে থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশুটির দাদি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সে আমার সাথে ঘুমাচ্ছিল। ভোর ৪টার দিকে কেউ তাকে নিয়ে যায়। কখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আমি বুঝতেও পারিনি। কারা গেছে তাও আমি জানি না। তারা মশারি কেটে নিয়ে যায়। তাকে নগ্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলায় আমরা রাস্তায় বাস করি। আমরা কোথায় যাব? আমাদের কোনো ঘরবাড়ি নেই।

ভুক্তভোগী শিশুটিকে উদ্ধারের পর স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে সুরক্ষা আইনের অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ তুলে হাসপাতালের মধ্যেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তারা।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স পোস্টে বলেন, ‘তারকেশ্বরে ৪ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরিবার থানায় ছুটে গেছে, কিন্তু এফআইআর দায়ের হয়নি! হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে – চন্দননগরে রেফার করা হয়েছে। তারকেশ্বর পুলিশ অপরাধটি ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত। এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাধীন শাসনের আসল চেহারা। একটি শিশুর জীবন ভেঙে গেছে, তবুও পুলিশ সত্যকে চাপা দিয়ে রাজ্যের আইন ও শৃঙ্খলা ভালো আছে তা দেখানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।’

সূত্র: এনডিটিভি