‘তফসিল ঘোষণার পর রাস্তায় নামলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’
সংবাদের আলো ডেস্ক: আগামী জাতীয় নির্বানের তফসিল ঘোষণার পর কোনো ধরনের দাবি-দাওয়া বা আন্দোলন নিয়ে রাস্তায় নামলে পুরো বিষয়টি কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, আমরা এখন নির্বাচনের মোডে। এই তফসিল ঘোষণার পরে কোনো ধরনের দাবি-দাওয়া, আন্দোলন নিয়ে রাস্তায় নামলে এই পুরো বিষয়টি খুব কঠোরভাবে দমন হবে। আমরা একটি ভালো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি অনেক ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়েও আন্দোলন করার চেষ্টা চলছে। সেই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পরশুদিন স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এই বিষয়টা কঠোরভাবে দমন করা হবে। যারা আন্দোলন করবেন, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, আমরা মনে করি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো আছে। আমরা আপনাদেরকে অনুরোধ (রিকোয়েস্ট) করব, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সঙ্গে কথা বলবেন। তারা আপনাদেরকে গত ছয় মাস বা গত বছরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির একটি পরিসংখ্যান (স্ট্যাটিস্টিক্স) দেবে এবং আমরা যে পরিসংখ্যান দেখছি, তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দেড় লাখ পুলিশকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। সাড়ে তিন লাখ আনসারের ট্রেনিং শেষ পর্যায়ে। বডি ক্যামেরা কীভাবে চালাতে হয়, সে নিয়ে ট্রেনিং হচ্ছে। সিসিটিভি— এটা নিয়েও ট্রেনিং হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলছেন জাতিকে একটি খুবই সুন্দর, বিশ্বাসযোগ্য (ক্রেডিটেবল), শান্তিপূর্ণ (পিসফুল) এবং উৎসাহমুখর, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া। কিন্তু গত ১৬ মাসে ২০০০টি আন্দোলন হয়েছে। নতুন সরকারের একটা সিদ্ধান্ত ছিল যে এগুলোকে শান্তিপূর্ণভাবে (পিসফুলি) মোকাবিলা করা, শান্তিপূর্ণভাবে এটাকে ডিল করা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লাঠিচার্জের বাইরে কিছু হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা একটা বিরল ঘটনা।



সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।