রবিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সলঙ্গায় শীতের আগমনী বার্তায় জমে উঠছে লেপ-তোষক কারিগরদের ব্যস্ততা

আখতার হোসেন হিরন, সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে যত বাড়ছে শীতের আমেজ, ততই জমে উঠছে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা। শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লেপ-তোষকের চাহিদা। এসব তৈরিতে ব্যবহার হওয়া তুলার দামও বেড়েছে। শিমুল তুলা সবচেয়ে দামী কেজি প্রতি ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর কাপাস ও গার্মেন্টসের তুলা ১০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তুলার দামের ওপরই নির্ভর করছে লেপ-তোষকের দাম। বর্তমানে একটি লেপের দাম ১৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। লেপ-তোষক ব্যবসায়ীরা জানান, সারা বছর বালিশ ও তোষকের বিক্রি চললেও লেপের চাহিদা থাকে মূলত শীতে।

তাই শীতের মৌসুম ঘিরে এখনই ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। একজন কারিগর প্রতিদিন ৩থেকে ৫টি পর্যন্ত লেপ তৈরি করতে পারেন। এ মৌসুমে বাড়তি চাহিদার কারণে তাদের কমিশনও অন্যান্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সলঙ্গা বাজারে কাপড় পট্টি এলাকায় সারিবদ্ধভাবে গড়ে উঠেছে লেপ-তোষকের দোকান। প্রতিটি দোকানে স্তুপ করে রাখা হয়েছে তুলা। ক্রেতারা তুলা বাছাই করে নিজের পছন্দমতো লেপ-তোষক বানিয়ে নিচ্ছেন। কেউ আবার পুরোনো লেপ ধোলাই করে নতুন ভাবে সাজিয়ে নিচ্ছেন। কাপড়পট্টি এলাকার লেপ-তোষক ব্যবসায়ী কিরন সরকার বলেন, আমাদের ব্যবসা মূলত ডিসেম্বর মাসেই জমে ওঠে। তবে এবার এখনো তেমন শীত পড়েনি, তাই চাহিদা খুব একটা বাড়েনি। আশা করছি, দু একদিনের মধ্যে ঠান্ডা বাড়লেই বিক্রি অনেক বেড়ে যাবে।

আরেক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, শীতে আমাদের দোকানে তুলার সরবরাহ রাখতে হয় বেশি। ক্রেতারা নিজেদের মতো তুলা বেছে নিচ্ছেন। আমাদের কারিগররা রাত পর্যন্ত কাজ করছেন। একেকটি লেপ ১২০০ থেকে ৫০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেপ তৈরির কারিগর রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন ব্যস্ততা বেশ বেড়েছে। আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যেই একটি লেপ তৈরি করা যায়। প্রতিদিন ৫ থেকে ৭টি লেপ প্রস্তুত করছি। মজুরিও ভালো পাচ্ছি সংসারও ভালোমতো চলছে। কারিগর রহমত আলী জানান, আমরা সারাবছর শীতকালীন এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই চাহিদা আরও বাড়বে বলে আশা করছি। এতে আমাদের আয়ও বাড়বে। লেপ ক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার বলেন, শিমুল তুলা দিয়ে একটি লেপ বানাতে তিন হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তুলা ভালো পেয়েছি। দাঁড়িয়ে থেকেই লেপ বানিয়ে বাসায় নিচ্ছি।

শীত বাড়ার আগেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। সলঙ্গা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সাহেদ আলী বলেন, উত্তরাঞ্চলে শীত একটু বেশি হওয়ায় মোটা কাপড়ের পাশাপাশি লেপ-তোষক অপরিহার্য। সারা বছর লেপ প্রয়োজন না হলেও শীতে এর চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যায়। অনেকে সামর্থ্য অনুযায়ী লেপ তৈরি করেন, আর অসহায় মানুষের জন্য সরকারি ভাবেও কম্বল বিতরণ করা হয়। ভালো ঘুমের জন্য লেপ-তোষকের বিকল্প নেই।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়