জাল সনদে কলেজে চাকরি করার অভিযোগ
নওগাঁ প্রতিনিধি: জাল সনদে বান্দাইখাড়া ডিগ্রী কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি জালিয়াতি করে নিয়োগ নিয়ে এমপিওভুক্তি করে বছরের পর বছর ধরে চাকরির সুবাদে তুলেছেন সরকারিপ্রাপ্ত বেতন-ভাতাদি।
জানা যায়, নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বান্দাইখাড়া ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে এটি এমপিওভুক্ত হয়। কলেজে সব মিলিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী ৬৬ জন। কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিসংখ্যান বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক ওয়াজেদ আলী প্রাং ২০০৪ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে তিনি ২০০৬ সালে মাস্টার্স কমপ্লিট করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, তিনি কিভাবে ২০০৬ সালে মাস্টার্স পাশ করে ২০০৪ সালে নিয়োগ পেয়েছে। তার চাকরি ও এমপিওভুক্তিতে দেওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সঠিক নয়। কিন্তু বিধান অনুযায়ী মাস্টার্স পাশ না করলে চাকরির আবেদন করতে পারবে না। আর সে মাস্টার্সে পর পর ২ বার ফেল করে। এরপরও সে কিভাবে কলেজে চাকরি করে এটাই সবার প্রশ্ন।
কলেজটির ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অভিযুক্তকারী চাতুরতার সঙ্গে প্রায় ২১ বছর চাকরি বাবদ ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বেতন সরকারি তহবিল থেকে তুলেছেন। নৈতিকভাবেই এ অর্থ ফেরত দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
অভিযোগের বিষয়ে সহকারি অধ্যাপক ওয়াজেদ আলী প্রমানিককে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, তাদের কোনো তথ্য আমি দিতে পারব না। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে জেনে নিন। আগে কলেজের নিয়োগ এ ভাবেই হয়েছে। আমি বর্তমানে অসুস্থ শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে চিকিৎসাধীন আছি। যদি তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া জাল হয় তবে মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।



সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।