এশিয়া সফরে মালয়েশিয়ায় ট্রাম্প, সাক্ষী হবেন আরেকটি ‘শান্তি চুক্তির’
সংবাদের আলো ডেস্ক: পাঁচ দিনের এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটিতে তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোট আসিয়ান-এর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে ট্রাম্পকে বহনকারী প্রেসিডেন্টের বিশেষ উড়োজাহাজ ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে তাকে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
পাশাপাশি কুয়ালালামপুরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শান্তিচুক্তি সই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। গত মে মাসে দেশ দুটি প্রাণঘাতী সীমান্ত বিরোধে জড়িয়ে পড়ে।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প জানান, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ‘বড় একটি শান্তিচুক্তি’ সই করার উদ্দেশ্যেই তিনি মালয়েশিয়ার পথে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আয়োজনে যেন সবাই উপস্থিত থাকতে পারেন, সে জন্য পৌঁছানোর পরপরই চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথমে দিনের পরবর্তী ভাগে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা থাকলেও, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল সময় এগিয়ে আনার অনুরোধ জানান। কারণ, শনিবার থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের মা রানি সিরিকিত মারা গেছেন।
ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, কুয়ালালামপুরে অবতরণের পর তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং দেশটির জনগণের প্রতি সমবেদনা জানাবেন।
পাঁচ দিনের এশিয়া সফরে ট্রাম্প মালয়েশিয়ার পর জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন। গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটি এ অঞ্চলে তার প্রথম সফর এবং সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফর। জাপানে তিনি সদ্য দায়িত্ব নেয়া নতুন প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক করবেন, আর দক্ষিণ কোরিয়ার গেয়ংজু শহরে অনুষ্ঠিতব্য এপেক সম্মেলনে অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের পুরো সফরের মূল আকর্ষণ হবে তার সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বৈঠক, যা অনুষ্ঠিত হবে এপেক সম্মেলনের সাইডলাইনে।


সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।