চাটমোহর ও পাবনা জেলা সদরে মাদকবিরোধী অভিযান, ১১ হাজার ইয়াবা, গাঁজা ও চোলাই মদ উদ্ধার


সঞ্জিত চক্রবর্তী, পাবনা প্রতিনিধি: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পাবনা ‘খ’ সার্কেল পাবনা জেলা সদর ও চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ১৪ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার সকাল ৬টা থেকে রাত পর্যন্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শের আলম।
অভিযানের প্রথম ধাপে সকাল ১০টার দিকে চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এসময় কেশবপুর গ্রামের মৃত শ্যামাপদ মুরারীর পুত্র শ্রী হিরেন্দ্রনাথ মুরারী (৩৫)-এর বসতবাড়ি থেকে ১০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় আসামি পলাতক ছিলেন। দ্বিতীয় ধাপে দুপুর ১টার দিকে চাটমোহর উপজেলার বাঘলবাড়ি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় বাঘলবাড়ি গ্রামের মোঃ ওছমান গণি প্রামানিকের পুত্র মোঃ হাবিব প্রামানিক (৪৫) এবং তার স্ত্রী মোছাঃ লবিজান খাতুন (৪১)-এর বিরুদ্ধে মাদক রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়। এদের মধ্যে মোছাঃ লবিজান খাতুন-কে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রধান আসামি হাবিব প্রামানিক পলাতক রয়েছেন। তৃতীয় ধাপে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাবনা জেলা সদরের লস্করপুর এলাকার বাংলা ক্লিনিকের গলিতে অবস্থিত মোল্লা টাওয়ারের একটি ভাড়াকৃত বাসায় অভিযান চালানো হয়।
সেখানে পাবনা সদর উপজেলার হিমায়েতপুর বটতলা গ্রামের মুক্তার আলীর পুত্র মোঃ আলামিন ওরফে মুন্না (৩৩)-এর ভাড়াকৃত কক্ষ থেকে ১১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ২ লাখ ৩৮ হাজার ৭৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় আলামিন ওরফে মুন্না পলাতক ছিলেন।
দিনব্যাপী পরিচালিত এই অভিযানটি সফলভাবে সম্পন্ন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পাবনা ‘খ’ সার্কেল। অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ শের আলম জানান, “মাদকবিরোধী অভিযান জেলায় নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।