জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মা, বাঁচাতে দুর্গাপুরের কাঠমিস্ত্রি সন্তানের আকুতি


রাজেশ গৌড়, দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি: একটি ছেলের হৃদয়বিদারক লড়াই এখন মানবিক সহায়তার অপেক্ষায়। পরিবারের বড় সন্তান সে। বাবাও গুরুতর অসুস্থ, শারীরিক দুর্বলতায় কর্মক্ষম নন। ফলে সংসারের সমস্ত ভার এসে পড়েছে ছেলেটির কাঁধে। পেশায় তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি। প্রতিদিন কষ্ট করে উপার্জিত অল্প আয়ে কোনও রকমে চলে সংসার। কিন্তু গত দেড় মাস ধরে সেই সামান্য আয় দিয়েই তিনি লড়ছেন আরও কঠিন এক যুদ্ধ নিজ মায়ের জীবন বাঁচানোর যুদ্ধ। নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার বুগাইকান্দা গ্রামের যুবক খাইরুল ইসলাম। তার মা রুবিনা খাতুন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। দিনকে দিন রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ছে। কিন্তু কাঠমিস্ত্রির সামান্য আয়ে সেই খরচ আর সম্ভব হয়ে উঠছে না।
খাইরুল ইসলাম বলেন, আমি এতদিন কোন রকমে চালিয়েছি চিকিৎসা কিন্তু এখন চিকিৎসক বলেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অপারেশন প্রয়োজন এর জন্য অনেক টাকা লাগবে। এই টাকা জোগাড় করা আমার পক্ষে অসম্ভব। একটা মুহূর্তও শান্তিতে থাকতে পারি না। আমি আমার মাকে বাঁচাবো, আমার মাকে বাঁচাতে সহযোগিতা চাই। রুবিনা খাতুনের চোখে-মুখে উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট। তিনি বলেন, আমার ছেলে কাঠমিস্ত্রির কাজ করে যা পাইছে আর কিছু টাকার আগে ছিল এগুলো দিয়েই দেড় মাস ধরে আমার চিকিৎসা চালিয়েছে। এখন আর পারতাছে না, আমার ছেলে আমাকে বাঁচাতে চাইতেছে আপনারা সবাই সহযোগিতা করেন।
এলাকাবাসীরও এখন একটাই প্রার্থনা এই মায়ের জীবন যেন বাঁচানো যায়। তারা সকলের প্রতি মানবিক সহানুভূতির আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার কিংবা কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি এগিয়ে আসে, তাহলে হয়তো এই অসহায় মায়ের জীবন ফিরে পাওয়া সম্ভব। তারা বিশ্বাস করেন, একটি সহানুভূতির হাতই হতে পারে এই পরিবারের বাঁচার শেষ আশার আলো। ছেলে খাইরুলের আকুতিতে সবাই এগিয়ে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।