নাগরপুরে যন্ত্রণা নিয়ে বাঁচার চেষ্টা, সহায়তা চান সোলাইমান


মনিরুল ইসলাম, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের রঙছিয়া গ্রামের মো. সোলাইমান সিকদার (৪৫), পিতা মৃত মো. সাকিমুদ্দিন সিকদার—একসময় ছিলেন স্বাভাবিক ও পরিশ্রমী একজন মানুষ। ঢাকার একটি কারখানায় চাকরি করতেন তিনি। সৎপথে উপার্জন করে গড়ে তুলেছিলেন একটি ছোট্ট সুখের সংসার। কিন্তু ২০০৩ সালের এক ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় বদলে যায় তার জীবনের পুরো গতিপথ। দুর্ঘটনায় তার বাম পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর শুরু হয় তার পঙ্গুত্বের নিষ্ঠুর ও কষ্টকর জীবন।
দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সোলাইমান এক পা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে তার পা সম্পূর্ণ অচল হয়ে গেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পা কেটে ফেলতে হতে পারে। কিন্তু সোলাইমান চান উন্নত ‘আর্থোপেডিক ও স্নায়ু চিকিৎসা’র মাধ্যমে বিকল্প উপায়ে চিকিৎসা নিয়ে পা বাঁচাতে। তিনি বিশ্বাস করেন, উন্নত চিকিৎসা পেলে হয়তো আবার হাঁটতে পারবেন।
সোলাইমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “ডাক্তার বলছে পা কেটে ফেলতে হবে। কিন্তু আমি চাই পা বাঁচিয়ে চিকিৎসা নিতে। আমি আবার হাঁটতে চাই, বাঁচতে চাই। আমি এখন একা—বাবা, মা, সন্তান কেউ নেই। স্ত্রীও বহু বছর আগে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। এখন বাঁচতে হলে উন্নত চিকিৎসার দরকার। আপনাদের কাছে অনুরোধ, যার যতটুকু সামর্থ্য আছে একটু সাহায্য করেন। আমি আবার বাঁচতে চাই।”
তার চাচা মো. ইমারত হোসেন বলেন, “ভাতিজা অনেক বছর ধরে কষ্টে আছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্তত ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। আমাদের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব না। তাই সমাজের হৃদয়বান মানুষদের সাহায্য প্রয়োজন।”
প্রতিবেশীরাও বলেন, “সোলাইমানের জন্য আমাদের খুব কষ্ট হয়। কিন্তু আমাদের নিজেদের অবস্থাও ভালো না, তাই সাহায্য করতে পারি না। ধনী ও সহৃদয়বানদের এগিয়ে আসা উচিত।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নান্নু মিয়া বলেন,“সোলাইমানকে ছোটবেলা থেকে চিনি। খুব কষ্টের জীবন পার করছে। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও তার পাশে দাঁড়ানো উচিত।”
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।