জমি নিয়ে বিরোধে দুই ছেলেসহ বাবাকে কুপিয়ে জখম


শেরপুর প্রতিনিধি: জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্রতিবেশীর দুই ছেলেসহ বাবাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে অপর প্রতিবেশীর নামে। আহত তিনজনের মধ্যে সংকটাপন্ন একজন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবারের পক্ষ থেকে গনমাধ্যমকে জানানো হয়। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে মূল আসামিকে গ্রেপ্তার ও বাকিরা পলাতক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও আহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রসাইতলা এলাকার শামীম মিয়ার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে প্রতিবেশি মামুন মিয়ার পরিবারের সাথে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত ৩০ এপ্রিল রাতে মামুন মিয়া তার দলবলসহ শামীম মিয়ার পিতা আব্দুল মান্নানের মাথায় আঘাত এবং স্ত্রী সাইমা বেগমকে মারধর করে। পরদিন ১ মে সকালে আবার মামুন মিয়া তার সঙ্গীদের নিয়ে শামীম মিয়ার বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় শামীম মিয়া গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে মামুন মিয়া তার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শামীম মিয়াকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় শামীমের ডাক চিৎকারে তাঁর পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন। এসময় ফিরাতে গেলে তার ভাই আ: হালিমকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। এসময় এলাকার লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে সড়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এদিকে শামীম মিয়া ও তার ভাই আ: হালিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে শামীম মিয়ার অবস্থা আরো গুরুতর হওয়ার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনায় ২ মে আহত শামীম মিয়ার ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামুন মিয়াসহ পাঁচজনকে আসামী করে আরো ৪/৫ অজ্ঞাতনামা রেখে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১ নং আসামী মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।
এবিষয়ে জানতে সংবাদকর্মীরা অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলেও আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকেই পাওয়া যায়নি।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মামুন মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।