বৃহস্পতিবার, ২৭শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

আশুলিয়ায় সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হেনস্তার শিকার সাংবাদিক

সাভার প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় মাই টিভির ভিডিও জার্নালিস্ট হাফিজুর রহমান ও ভোরের পাতার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলাম অনিক সহ একাধিক গণমাধ্যমকর্মীকে সংবাদ সংগ্রহের বাঁধা প্রদান ও হেনস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জামগড়া রূপায়ণ মাঠ এলাকায় একটি ঝুট গোডাউনের অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও ধারণকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মূলত সাফর আলী ও নুর আলমের নেতৃত্বে আরও চার থেকে পাঁচ জন এই হামলায় অংশ নেয়।হাফিজুর রহমান বলেন, আমি আগুন লাগার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। যখন ভিডিও করতে যাই সেই সময় বেশ কয়েকজন আমাকে ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেন এবং অকথ্য গালিগালাজ করার পাশাপাশি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা সেখান থেকে চলে যান। সংবাদকর্মী জাহিদুল ইসলাম অনিক জানান, সংবাদ সংগ্রহ করা একজন সংবাদকর্মীর পেশাগত দায়িত্ব। আগুনের খবর শুনে সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ঝুটের গোডাউন সংশ্লিষ্টরা আমাকে সহ দুই সাংবাদিককে সংবাদ সংগ্রহে বাধা প্রদান করে এবং একপর্যায়ে হেনস্তা করে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনা গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য একপ্রকার হুমকি স্বরূপ। আশুলিয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করার বিষয়টি জানাজানি হলে গোটা সাংবাদিক সমাজে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাভার ঢাকা। ০৭.০৩.২০২৫ ছবির ক্যাপশন: (বামে) মাই টিভির ভিডিও জার্নালিস্ট হাফিজুর রহমান এবং (ডানে) দৈনিক ভোরের পাতার স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলাম অনিক।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়