প্রবাসী প্রেমিকের সঙ্গে অভিমানে প্রেমিকার আত্মহত্যা


সংবাদের আলো ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রবাসী প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে প্রেমিকার ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় খবর পেয়ে শহরের কমলপুর পঞ্চবটি এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নিহত প্রেমিকা পৌর শহরের কমলপুর পঞ্চবটি এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল বেগম (২০)। ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।পুলিশ ও নিহত জান্নাতুল বেগমের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইতালী প্রবাসী উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর রেলগেইট এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে রিফাত মিয়ার সঙ্গে বছর খানেক সময় ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জান্নাতুল বেগমের। আজ রাত ৩টার দিকে রিফাত ও জান্নাতুল এর মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়।কথার এক ফাঁকে প্রেমিককে বলেই জান্নাতুল বেগম জানালার গ্রিলে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। প্রতিবেশী চাচাতো বোন তুলনা বেগমের কাছে খবর পেয়ে বড় ভাই আরাফাত দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় জান্নাতুল বেগম ফাঁসিতে ঝুলে আছে। সকালে থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে নিহতের পিতা আব্দুর রাজ্জাক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে সরকারি জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী। মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ফিনল্যান্ড পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমার মেয়ের আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন ছিলো। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। শম্ভুপুর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে রিফাত বিভিন্ন কৌশলে আমার মেয়ে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। আমরা বিষয়টি বুঝতে পেরেও কোন প্রমাণাদী ছিলো না।
তাদের ফোনে যোগাযোগ ছিলো বেশি। তবে যতটুকু জেনেছি ছেলের মা ও বাবা ছেলেকে আমার মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখতে নিষেধ করেছে। রাতে মেয়ের সাথে ছেলের কথাকাটাকাটি হলে আমার মেয়ে ছেলেকে জানিয়েই আত্মহত্যা করে। ছেলেটি জানতো আমার মেয়ে ফাঁসিতে ঝুলেছে। তার মাধ্যমেই আমরা জানতে পারি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ের আত্মহত্যার জন্য ছেলে রিফাত ও তার পরিবার দায়ী। এ বিষয়ে প্রবাসী রিফাতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, প্রেমিকের সাথে অভিমানে জান্নাতুল বেগম আত্মহত্যা করেছে বলে বিষয়টি শুনেছি। খবর পেয়ে মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।