শাহজাদপুরে শিশু ফাতেমাকে ধর্ষণের পর একাধিক টুকরো করে হত্যা !


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের মাজ্জান গ্রামের সোবাহান
শেখের শিশু মেয়ে ফাতেমা(৬) কে ধর্ষণের পর একাধিক টুকরো করে নেপেয়ার ঘাসের জমিতে ফেলে দেয়ার ১ মাস পার হলেও পুলিশ এখনও নিহতের এক পা, এক হাতের করজি ও বডির অংশ উদ্ধার করতে পারেনি। এ নিয়ে নিহতের পরিবার ও স্বাজনদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
তারা বুধবার বিকেলে মাজ্জান গ্রোমের বাঁধের উপরের
বাজারে শিশু ফাতেমা হত্যার বিচার, এ হত্যার সাথে জড়িত সকল আসামীকে মামলায় অন্তর্ভূক্ত করণ ও দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে
বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে নিহত শিশুর মা নূর জাহান বেগম সাংবাদিকদের বলেন, গত ৩০ জুলাই রবিবার সকালে ফাতেমা তার নানির সাথে বাড়ির উঠনে বসে ছিল। এ সময় বাড়ির পাশের আবেদ আলীর ছেলে ভ্যান চালক নজরুল ইসলাম
(২৫) তার এক আত্নীয়র জমি থেকে আঁখ কেটে দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়।
এরপর ওই আখ ক্ষেতের পাশের একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে শিশু ফাতেমাকে ধর্ষণ করে ও তার কানে থাকা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় শিশু ফাতেমা চিৎকার
শুরু করলে পাষন্ড নজরুল তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর নজরুল তার সহযোগিদের নিয়ে নিহতের লাশ একাধিক টুকরো করে একটি ঢিসের মধ্যে নিয়ে পাশের
নেপিয়ার ঘাসের একাধিক জমির বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়ে লাশ গুম করে।
এরপর ফাতেমাকে দিনভর খুজে না পাওয়ায় এলাকায় মাইকিং করা হয়। অপরদিকে নজরুল এ হত্যার পর সবার সাথে খুব স্বাভাবিক আচরণ করে এবং ফাতেমার বাবা-মাকে সাথে বিভিন্ন স্থানে ফাতেমাকে খোজাখুজি করে। ফতেমা নিখোঁজের দুই দিন পর ২ আগস্ট বুধবার দুপুরে ফাতেমার বাবা সোবাহান শেখ বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি জিডি করে। এরপর এদিন সন্ধ্যায় নেপিয়ার ঘাসের জমির ভিতর থেকে শিয়াল শিশুর একটি পা নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসি পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ
ঘটনাস্থলে পৌছে আশেপাশের আরও একাধিক জমি থেকে শিশু ফাতেমার মাথা,হাত ও একটি পা উদ্ধার করে। কিন্তু অপর একটি পা সহ বডি এখনও উদ্ধার হয়নি। এ
ঘটনায় নিহতের মা নূর জাহান বেগম বাদী হয়ে নজরুলকে প্রধান আসামী করে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলার এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ শিশু ফাতেমার একটি হাতের কবজি,একটি পা সহ বডি উদ্ধার করতে পারেনি।
এছাড়া পুলিশ পরদিন নজরুলকে গ্রেপ্তার করলেও এ হত্যার সাথে জড়িত অন্যদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ফলে এ হত্যা মামলা তুলে নিতে নজরুলের আত্নীয় স্বজনরা বিভিন্ন ভাবে চাপ ও হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া এ হত্যা মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহের উদ্দেশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা লুট মামলা দায়ের করে আমাদের হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, শিশু ফাতেমা হত্যার পর পর ঘাতক নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে তার কাছে থেকে কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নজরুল আদালতে ১৬৪ ধারায় এ হত্যা একাই ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়া এ হত্যার সাথে আর কারও জড়িতথাকার আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশ শিয়াল খেয়ে ফেলেছে। ফলে এক পা, এক হাতের করজি ও বডির অংশ উদ্ধারের দাবী অবান্তর।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।