বুধবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

রাস্তা আছে, ব্রীজ নাই শিক্ষার্থীরা ভাঙ্গা সাঁকো দিয়ে পারাপার।

খালেক পারভেজ লালু, উলিপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: বাসা থেকে অর্ধ কিলোমিটার স্কুল, ব্রীজের অভাবে যেতে হয় তিন কিলোমিটার ঘুরে। সময় লাগে বেশী, হেটে যেতে শরীলের অনেক প্রেসানী হয়। স্কুলে এসে ক্লান্তি লাগে। তাই এই মরন ফাঁদ দিয়ে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করি। দেশে কত বড় মেগা ব্রীজ নির্মান হচ্ছে। আর এখানে মাত্র ১৫ মিটার ব্রীজটা হলে আমাদের অনেক সুবিধা হতো। সেটাই হচ্ছে না।

এ ভাবে কথা গুলো বলছিলেন হযরত ফাতিমা(রাঃ) স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মোছাঃ লামিয়া আক্তার। নুরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার কেঁদে কেঁদে বলেন,বুড়ি তিস্তা পার হলেই আমাদের বিদ্যালয় খালের উপর বাশের সাঁকো তাও ভাঙ্গা ভয় ভয় করে কোন রকমে পাড় হই। এখানে একটা পুল (ব্রীজ) হলে আমাদের অনেক সুবিধা হত। আপনী নিজে দেখলেন কিভাবে  আমি পড়ে গেলাম। আজ নিয়ে ৩দিন পড়ে গেলাম। এ ভাবে কি যাওয়া আশা  করা যায়। একই ভাবে ব্রীজের আকুতি জানায়, শিক্ষার্থী মোছাঃ আফরিন বেগম.বিউটি বেগম, বাবলু মিয়া ও রেজওয়ানুল হক।

বলদী পাড়া গ্রামের শিক্ষার্থী অবিভাবক সাইফুল ইসলাম সাঁকো পার হয়ে বলেন,ব্রীজের অভাবে রাস্তাটা ব্যবহার করতে পারি না। বাড়ী থেকে শহর যেতে ১৫ মিনিটের পথ। ঘুরে যেতে লাগে এক ঘন্টা। আমাদের ছেলে মেয়েরা জীবন হাতে নিয়ে ভাঙ্গা সাকো দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করে। তাদের নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকি কখন কোন দুঘর্টনা হয়। তিন গ্রামে রোগি পরিবহনে এ্যাম্বুলেন ও ফায়ারের গাড়ী ঢোকে  না। ঢুকলেও  কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। আমরা তিন গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার পৌরবাসি হলেও সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অথচ প্রথম শ্রেনীর পৌরসভার ট্যাক্স  দেই।

জানা গেছে,পৌরসভা হওয়ার আগে বলদি পাড়া, মৌলভী পাড়া, জোনাই ডাঙ্গা গ্রাম গুলো ছিল গুনাইগাছ ও ধামশেনীর অর্ন্তগত। বর্তমানে পোৗরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত হলেও পৌর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।  ট্যাক্স  দিতে হচ্ছে পৌরসভায়। কিন্ত ইউনিয়নের সেবা পাচ্ছে না অভিযোগ স্থানীয়দের। উলিপুর পৌরসভা ১৯৯৮সালে গঠিত হয় এবং ২০২২ সালে প্রথম শ্রেনীতে উন্নিত হয়। পৌরসেবা ও সুযোগ সুবিধার দাবী তাদের।

হযরত ফাতিমা (রাঃ) স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজ রুহুল আমিন বলেন, ওই তিন গ্রাম থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষাথী আমার প্রতিষ্টানে লেখা পড়া করতে আসে। কিন্ত তাদের যাতায়াতের রাস্তায় বুড়ি তিস্তার উপর ব্রীজ না থাকায় শিক্ষাথীদের মরন ফাঁদ বাঁশের ভাঙ্গা সাকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে আসতে হয়। অথবা তিন কিলোমিটার রাস্কা ঘুরে আসতে হয়। তিনি ব্রীজ নির্মানের দাবী জানান।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ নার্গিস ফাতিমা তোকদার বলেন,আমার স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ওই পারের ব্রীজ না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার সমস্যা হচ্ছে, ব্রীজটা হলে সুবিধা হবে।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই স্থানে বুড়িতিস্তার উপর ব্রীজ নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে। টাকা বরাদ্ধ না থাকায় ব্রীজটি নির্মান করা যাচ্ছে না। বরাদ্ধ পেলে রাস্তাটি সহ ব্রীজ নির্মান করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মাহমুদুল হাসান বলেন. আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখব।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়