বৃহস্পতিবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

‘প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নন, অসীম সম্ভাবনার অধিকারী’

সংবাদের আলো ডেস্ক: প্রতিবন্ধীরা সমাজের ওপর বোঝা নন। তারা আল্লাহ প্রদত্ত ভিন্নতর যোগ্যতা, বিশুদ্ধ হৃদয় ও অসীম সম্ভাবনার অধিকারী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যথাযথ সুযোগ, উপযোগী পরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেলে তারাও সমাজের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা মানবিক দায়িত্ব, নৈতিক কর্তব্য এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

গতকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

জামায়াত আমির বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা মানবিক দায়িত্ব ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। শিক্ষা, চিকিৎসা, চলাচল, কর্মসংস্থান, পুনর্বাসন ও নিরাপত্তাসহ সব মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান রাষ্ট্রের সুশাসনেরই অনুষঙ্গ।

তিনি আরও বলেন, ইনক্লুসিভ এজুকেশন, অ্যাক্সেসিবল অবকাঠামো, সহায়ক প্রযুক্তি ব্যবহার, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পরিবারভিত্তিক সাপোর্ট সিস্টেম আরও শক্তিশালী করতে হবে। পরিবারের মানসিক, সামাজিক ও আর্থিক চাপ কমাতে সরকারি পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজে সংবেদনশীলতা, শ্রদ্ধা ও সহযোগিতামূলক মনোভাব বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

বুধবার সকালে রাজধানীতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের একটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন জামায়াত আমির। সেখানে তিনি শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান এবং শিক্ষাদান ও পরিচর্যার সার্বিক পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অভিভাবক ও শিক্ষকরা যে ত্যাগ, মমত্ববোধ ও ধৈর্য নিয়ে শিশুদের সেবা করে চলেছেন, তাকে ‘সমাজের জন্য অনুকরণীয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমি ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি ব্যবহার করি না। আমি বলি ‘স্পেশাল নিড বেবিজ’। এদের প্রতি সমাজের বিশেষ লক্ষ্য ও সহানুভূতি থাকা উচিত। অনেক মা সামাজিকভাবে অবজ্ঞার শিকার হন, যা আসলে আমাদের অজ্ঞতা।” তিনি আরও বলেন, এসব শিশুদের সম্ভাবনা চিহ্নিত করে এগিয়ে নিতে সমাজ ও রাষ্ট্রকেই সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, কল্যাণ রাষ্ট্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন একটি শিশুকে দেখাশোনার জন্য একজন মানুষকে সরকারি অর্থায়নে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান সব নাগরিককে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি দায়িত্বশীল, সংবেদনশীল ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তার সঙ্গে পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের আহমেদ এবং খিলক্ষেত থানা আমির হাসনাইন আহমেদ।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়