ভূঞাপুরে শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে, বার্ষিক পরীক্ষায় হলের দায়িত্বে অভিভাবক
আখতার হোসেন খান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা দেশব্যাপী চলমান কর্মবিরতিতে থাকায় বার্ষিক পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। শিক্ষক-শিক্ষিকারা কর্মবিরতি পালন করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চেয়ারে বসে থাকলেও পরীক্ষার হলের ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছেন অভিভাবকরা। তাদের সহযোগিতায় কোমলমতি শিশুরা পরীক্ষা দিচ্ছে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষের বাইরে—এমনকি বিদ্যালয়ের আঙিনায়ও—শত শত অভিভাবকের উপস্থিতি দেখা যায়। কেউ সন্তানকে সাহস দিচ্ছেন, কেউবা হলের ভেতরে গিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। পরীক্ষার হলের দ্বায়িত্বে থাকা অভিভাবকরা জানান, কর্মবিরতির কারণে পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা থাকলেও সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁরা নিজেরাই পরীক্ষার হলে শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আহ্বানে তারা পরিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সাহায্য করছেন। এদিকে সন্তানের অপেক্ষায় পরীক্ষার হলের বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবকরা জানান, এভাবে ক্লাস পরিক্ষা বর্জন করে যদি শিক্ষকরা বসে থাকেন তাহলে এই কোমলমতি শিশুদের মধ্যে এর প্রভাব পরবে। তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাবে। দ্রুত শিক্ষকদের দাবী পুরন করে তাদের আবারো ক্লাস রুমে ফেরানোর দাবী করেন তারা।
ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাসেল পারভেজ জানান, আমরা ১১তম গ্রেড দাবী করে আমাদের কর্মবিরতী পালন করছি। যতক্ষন না প্রজ্ঞাপন জারি করে ততক্ষন আমাদের কর্মবিরতী চলবেই।বার্ষিক পরীক্ষার মূল্যায়ন এবং পরিক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের কিরুপ প্রভাব পরবে জানতে চাইলে তিনি জানান, শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করায় পরীক্ষার ব্যবস্থাপনায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, তবে অভিভাবকদের সহযোগিতায় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।



সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।