বুধবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

বিয়ের দাবিতে ফাঁসির দড়ি নিয়ে প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিক

শুভংকর পোদ্দার, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে ফাঁসের দড়ি নিয়ে অনশন করেছেন প্রেমিক দাবি করা এক যুবক। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে জেলার হরিরামপুর উপজেলার কৌড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রেমিক রবিউল হাসান রবি (২৮) হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের উত্তর মেরুন্ডি এলাকার আজাদ মোল্লার ছেলে আর প্রেমিকা পাশের গালা ইউনিয়নের কৌড়ী গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে তাহমিনা মিম (২১)।

সে মানিকগঞ্জ মহিলা কলেজের অনার্স পড়ুয়া ছাত্রী। পাশাপাশি প্রেমিক একজন ঠিকাদার ব্যবসায়ী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে প্রেমিকা মিমের সাথে রবিউলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সময়ের সাথে সাথে গভীর হয়ে ওঠে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে দুই পরিবার বিয়ের সম্মতি জানালেও। বেঁকে বসেন প্রেমিকা মিম। আর এতেই পাগল প্রায় প্রেমিক রবিউল। শেষমেষ উপায়ন্তর না পেয়ে প্রেমিকা মিমের বাড়িতে ফাঁসির দড়ি হাতে অনশনে বসেছেন রবিউল। এ ঘটনা জানাজানি হলে আশপাশের এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের।

এ ঘটনা দেখতে মেয়ের বাড়িতে ভিড় করছেন আশপাশের লোকজন। প্রেমিক দাবী করা যুবক রবিউল হাসান রবি জানান, মিমের সাথে আমার ৩ মাসের প্রেমের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ের প্রতি স্রুতি দিয়ে আমার সাথে অবৈধ মেলামেশা সহ আমার টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন সে আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। তার সাথে আমার মেলামেশার বিষয়ে আমার এলাকায় অনেকেই দেখেছে।

এখন মিম আমাকে বিয়ে না করলে আমার সম্মান চলে যাবে। তাই আমি উপায় না পেয়ে তার বাসায় এসেছি, এখন যদি সে আমাকে বিয়ে না করে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ নেই। তাই আমি ফাঁসির দড়ি সঙ্গে এনেছি, হয় মিম আমাকে বিয়ে করবে না হয় আমার লাশ এই বাড়ি থেকে বের হবে। তবে প্রেমিকা মিমের দাবী তার (রবিউল) সাথে কেবলমাত্র কথাবার্তা হয়েছে, হয়েছে টুকটাক দেখা সাক্ষাৎ। এর বাইরে প্রেম কিংবা বিয়ের কোন সম্পর্ক তার সাথে নেই। রবিউল হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই বাড়ির উপরে এসে সম্মানহানির চেষ্টা করছে। আমি এই ছেলেকে বিয়ে করব না ও (রবিউল) মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।

একই বক্তব্য প্রেমিকার মা পারভীন আক্তারের। তিনি বলেন, মেয়ে যেখানে সম্মত নয় সেখানে আমি আগাতে পারবো না। আমার স্বামী প্রবাস থাকে- এ ঘটনায় আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না। এ বিষয়ে গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিক বিশ্বাস বলেন, আমি একটা প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত আছি। তাই বিকেলে বা সন্ধ্যায় বসে তাদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়া যায় সেটার চেষ্টা করবো।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়