মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

শ্রমিকদল নেতার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার, স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীর প্রতিবাদ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল শিবালয় উপজেলা শাখার সাধারণ  সম্পাদক এস এম রাজু হোসেনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তার স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী সানজিদা আক্তার।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের কাছে   এই অভিযোগ উত্থাপন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।  
সানজিদা বলেন, আমার প্রথম স্বামী (শামীম হোসেন)১২ বছর যাবত ড্রাগ এডিক্টেড ছিল। সে টাকা পয়সার জন্য আমাকে প্রতিনিয়ত  শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। সে ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করতো। কিন্তু কোন কোম্পানিতে ২-১ বছরের বেশি চাকরি করতে পারত না। কোম্পানির টাকা পয়সা সব তার নেশার পেছনে  খরচ করত। যখন কোম্পানি টাকা পয়সার জন্য চাপ দিত তখন সে আমাকে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যাংক থেকে লোন তুলে সেগুলো দিয়ে তার কোম্পানির টাকা পরিশোধ করত। যখন কোনো চাকরি ঠিক মতো করতে পারছিলো না, তখন আমি আমার নানার ওষুধের দোকানে তাকে বসাই এবং পাঁচ লক্ষ টাকার ওষুধ তুলে দেই। কিন্তু  মাত্র ১০ মাসের মধ্যে দোকানের সম্পুর্ন মুলধন গায়েব। তারপর সে আবার চাকরিতে যোগ দেয়।   এখন সে যে কোম্পানিতে চাকরিরত আছে এ কোম্পানিতেও আমি ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছি। তারপরও দুই এক মাসের ব্যবধানে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ঋন হয়ে যায়। এসব নিয়ে অশান্তি করে আমি তাকে ডিভোর্স দেই। তার কোম্পানি বেতন বন্ধ করে দিলে আমাকে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি বলি আমার সাথে তোমার ডিভোর্স হয়েসে। আমি কেন তোমাকে টাকা দেবো? তখন সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলেন, আমার ভাই ( আফজাল হোসেন) তোমার চাকরি খাওয়ার ব্যবস্থা করছে। বাঁচতে চাইলে আমাকে টাকা দাও। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে বলে আমি তোকে সারা দেশে ভাইরাল করে দেব। যার কারনে তুই সুইসাইড করতে বাধ্য হবি। এ কারনে আমার প্রাক্তন স্বামী ও তার ভাই মিলে আমার স্বামী রাজুর রাজনৈতিক সামাজিক ও ব্যক্তিগত সুনাম   নষ্ট করতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে। যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি। প্রথম স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক শিবালয় উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাজু হোসেনকে বিয়ে করে সংসার করছি। নিয়মিত স্কুল করছি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ‘বিবাহিত স্কুল শিক্ষিকার সাথে শ্রমিক দল নেতার অনৈতিক কান্ড’ শীর্ষক” সংবাদ প্রচারিত হয়। যা সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এবিষয়ে জাতীয়তাবাদ শ্রমিক দল শিবালয় উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম রাজু হোসেন বলেন, সানজিদা আক্তারকে আমি প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে করে সুখে শান্তিতে ঘর-সংসার করছি। কিন্তু  স্বার্থন্বেষী একটি মহল মিথ্যা প্রচারণা করে আমার সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত  সুনাম বিনষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়