শনিবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সাংবাদিক মিলনের ছেলে আবির এর জানাযা দাফন সম্পন্ন

সঞ্জিত চক্রবর্তী, পাবনা প্রতিনিধি: দৈনিক সমকাল এর চাটমোহর প্রতিনিধি, চাটমোহর প্রেসক্লাব এর কার্যকরী সদস্য শামীম হাসান মিলন এর একমাত্র ছেলে আবির হাসান জানাযা নামাজ ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় চাটমোহর পৌর সদরের মধ্য শালিখা জামে মসজিদ চত্বরে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ও বক্তব্য দেন পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র হাসাদুল ইসলাম হীরা, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, মধ্য শালিখা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাজিউর রহমান রুমী, চাটমোহর প্রেসক্লাব এর সভাপতি হেলালুর রহমান জুয়েল, সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুদ রানা, পাবনা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিফাত রহমান সনম, দৈনিক ইছামতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোখলেছুর রহমান খান বিপ্লব প্রমুখ।

জানাযা নামাজে ইমামতি করেন মধ্য শালিখা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. রায়হান উদ্দিন। পরে বৃগুয়াখড়া সম্মিলিত কবরস্থানে কবিরকে দাফন করা হয়। সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর কোমায় থাকার পর শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নিজ বাসায় মারা যায় আবির। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে পরিবার স্বজন সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১৭ বছর। সে চাটমোহর সরকারি আরসিএন অ্যান্ড বিএসএন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। এক বোন আর এক ভাই এর মধ্যে আবির ছিল ছোট। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে সাংবাদিক মিলন এর বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আলহাজ্ব হাসানুল ইসলাম রাজা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র হাসাদুল ইসলাম হীরা সহ গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

প্রসঙ্গত: ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর শুক্রবার বাবার সাথে জুমআ’র নামাজ আদায় করেছিল আবির। নামাজ শেষে বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয় সে। চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়। তাকে প্রথমে চাটমোহর হাসপাতালে, সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নেয়া হয় ঢাকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্সেস ও হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দফা অপারেশন করা হলেও জ্ঞান ফেরেনি আবিরের। সেই থেকে কোমায় ছিল সে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়