বৃহস্পতিবার, ১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

মানিকগঞ্জে অভিযানে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ডিএনসির ১০ সদস্য আটক!

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: অভিযান করতে এগিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ গ্রামবাসীদের হাতে আটক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের এসআইসহ ১০ সদস্যকে আটকে রাখার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সাটুরিয়া উপজেলার  ধানকোড়া ইউনিয়নের তারাবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে এস আই রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে   ৯ সদস্যের একটি অভিযানিক   দল তারাবাড়ী গ্রাম থেকে ২০ বছর বয়সী আরিফুল ইসলামকে ৩৫ পিস ইয়াবা সহ আটক করে।

আরিফুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই গ্রামের বাদশা মিয়ার পুত্র মজিদ (৩৫), মৃত আওলাদ হোসেনের পুত্র জুলহাস (৩৩) এর বাড়ী তল্লাশি করে। এ সময় মজিদ আর জুলহাসের কাছে কোন মাদক না পেয়ে ছেড়ে দেয়।
এলাকাবাসী ভুয়া ডিবি পুলিশের খবর পেয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্যবহৃত গাড়ীটি আটক করে। গাড়ীতে থাকা আসামী আরিফুলকে ছাড়িয়ে নিতে চায়।

আরিফুলের শ্বশুর মেহেদী হাসান জনতাকে বলেন, তার মেয়ের জামাইয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে মজিদ, জুলহাস সহ আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসী ভুয়া পুলিশের খবর পেয়ে এস আই রফিকুল ইসলাম, আতাউর রহমান সজীব, এ এস আই  কিংকর কুমার রায়, নজরুল ইসলাম, মাহবুবা রহমান, সিপাহী জীবন হোসেন, জুয়েল রানা, আলমগীর কবির, শাহীন খান কে অবরুদ্ধ করে আরিফুল কে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। উত্তেজিত জনতা জীবন হোসেন সহ কয়েকজনেরর অবস্থান খুবই দুঃখজনক। আমার টিমের সদস্যদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।

স্থানীয় ফজলুল হক বলেন, বাজার থেকে এসে শুনি পুলিশ জুলহাস ও মজিদকে ধরেছে। কিছুক্ষণ পরই খবর পাই টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আওলাদ হোসেনের স্ত্রী জানান, আমার সামনে আমার ছেলেকে মারধর করতে থাকে। আমি নিষেধ করলে তারা আমাকে টাকা আনতে বলে। পরে ৫ হাজার টাকা এনে দেই।

বিথী আক্তার নামের এক নারী অভিযোগ করে বলেন, তল্লাশির সময় ঘরে রাখা ৫০ হাজার টাকা এবং আমার শাশুড়ির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

অভিযান পরিচালনাকারী উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করি। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুইজনের বাড়ি তল্লাশি করি। সেখানে কিছু না পেয়ে চলে আসি। কিন্তু গ্রামবাসী ভুল বুঝে আমাদের আটকে রাখে।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আহসানুল কবির বুলবুল বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়