শর্ত মানলে ইসরায়েলি জিম্মিদের কাছে খাবার পাঠাবে হামাস


সংবাদের আলো ডেস্ক: নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ হলে রেড ক্রসের মাধ্যমে জিম্মিদের কাছে খাবার পাঠাতে চায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। রবিবার (৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে হামাস।
সোমবার (৪ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস প্রকাশিত এক ভিডিওতে হাড্ডিসার সর্বস্ব এক জিম্মিকে দেখার পর পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশের মধ্যে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এই প্রস্তাব দিলো।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, তারা কেবল তখনই রেড ক্রসের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত থাকবে, যদি ইসরায়েল গাজায় স্থায়ীভাবে মানবিক করিডোর চালু করে এবং ত্রাণ বিতরণের সময় বিমান হামলা পুরোপুরি বন্ধ রাখে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে গাজায় অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হামাস এখনো পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাকে জিম্মিদের কাছে পৌঁছাতে দেয়নি।
শনিবার হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড এক ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে গাজায় একটি সরু কংক্রিট সুড়ঙ্গে বন্দি একজন ইসরায়েলি যুবককে দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবক শারীরিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল, গায়ে কোনো জামা নেই, কেবল প্যান্ট পরা, এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে অপুষ্টিতে ভুগছেন বলে মনে হয়েছে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এবং ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভিডিওতে দেখা যাওয়া ২৪ বছর বয়সী যুবকের নাম এভিয়াতার ডেভিড। তিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার সময় দক্ষিণ ইসরায়েলে নোভা সঙ্গীত উৎসবে অংশ নিতে গিয়ে অন্যদের সঙ্গে আটক হন। তখন তাকে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ভিডিওটি প্রকাশের পর শুধু ইসরায়েল নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র হামাসের এ আচরণের নিন্দা জানিয়েছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের অনুরোধ করেছে।
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।