চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের পর ‘থুতু চাটালেন’ সাবেক ছাত্রদল নেতা


সংবাদের আলো ডেস্ক: চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মানিকগঞ্জে অন্তর মিয়া নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে মারধরসহ অন্যের থুতু চাটাতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. নবীনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাবেক ছাত্রদল নেতার ব্যক্তিগত অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
অন্তর মিয়া মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা গড়পাড়া ইউনিয়নের বাঙ্গালা গ্রামে বাবু মিয়া ছেলে। তিনি মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে মানিকগঞ্জ-সিংগাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কে অটোরিকশা চালান।
অন্তর মিয়া অভিযোগ করেন, ‘মাঝে মধ্যেই আমার কাছে নবীনের লোকজন চাঁদা দাবি করে। সবশেষ ১৫ দিন আগে ১০ হাজার টাকা দাবি করে নবীন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় মোবাইল ফোনে কল করে গালাগালি করে সে। পরে ১৮ মে কল করে অফিসে দেখা করা কথা বলে। ১৯ মে দুপুরে অটোরিকশার মালিক ওমরকে সঙ্গে নিয়ে নবীনের অফিসে গেলে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় নবীন ও তার লোকজন রড দিয়ে পিটিয়ে আমাকে আহত করে। একপর্যায়ে অন্যের থুতু চাটাতে বাধ্য করে। এ সময় ওমর আমার হয়ে ক্ষমা চায় ও চাঁদা দিতে রাজি হয়। আড়াই ঘণ্টা পর সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওমর ফারুক বলেন, ‘নবীনের অফিসে অন্তরকে দুই ঘণ্টার বেশি আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। তাদের হাতে-পায়ে ধরে মাপ চেয়েছি। তবু তারা অন্তরকে মারধর করাসহ অন্যের থুতু চাটতে বাধ্য করে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ার সাহস হচ্ছে না।’
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে মো. নবীন বলেন, ‘পরিবহনের সিরিয়াল নিয়ে অন্য চালকদের সঙ্গে অন্তরের দ্বন্দ্ব ছিল। সে বিষয়টি সমাধানের জন্য তাকে অফিসে ডাকা হয়। পরে বিষয়টা সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তার সঙ্গে আর কিছুই ঘটেনি।’
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সূত্র: সমকাল
সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।