বৃহস্পতিবার, ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

৭০ কেজির বদলে ৪০ কেজির গরু, নাজিরপুরে প্রকল্পের বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নাজিরপুরে দেশি প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মৎস্যজীবীদের বকনা বাছুর বিতরণে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী ৭০ কেজি ওজনের বাছুর দেওয়ার কথা থাকলেও, উপকারভোগীদের দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ কেজি ওজনের গরু। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে এ ধরনের অনিয়ম ভবিষ্যতের উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বলে জানান সচেতন মহল। 

৩০ এপ্রিল (বুধবার) উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ে মৎস্যজীবিদের মাঝে গরুর বাছুর বিতরণ কার্যক্রম চলাকালে এ অনিয়ম দেখা যায়।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, সরকার কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রকল্প দিচ্ছে, অথচ সেখানে অনিয়ম হচ্ছে। এটা মানা হবেনা। জনগণের টাকায় কেনা গরু জনগণকেই সঠিকভাবে দিতে হবে।

প্রকল্পের উপকারভোগী তারাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়া বলেন, গরুর ওজন হওয়ার কথা ৭০ কেজি, কিন্তু যে গরু পেয়েছি তার ওজন ৪০ কেজিও হবে না।

অভিযোগ রয়েছে, অনেক উপকারভোগী গরু নিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের বলা হয়, না নিলে গরু আর পাবেন না। এক ভুক্তভোগী বলেন, আমাগো বাজেট দিয়া যদি কম ওজনের গরু দেয়, তাও ঠিক আছে, কিন্তু ফিতা দিয়ে গরুর ওজন মেপে দিতে হবে কেন? এটাতো গরু এইটাতো গাছ না!

এবিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন বলেন, আপনারা জদি গরু নিতে না চান তাহলে আমরা এই প্রকল্পটা বাতিল করে দিবো।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফজলে রাব্বি গরুর বাছুর বিতাড়ন কালে সকলের সামনে বলেন,আপনারা যদি এই গরুগুলো নিতে না চান তাহলে এই প্রকল্প বাতিল হয়ে অন্য কোথাও চলে যাবে।

সংবাদের আলো বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়